নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে মো. সুমন (২২) নামের এক যুবককে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ডেকে নিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়। এ ঘটনায় কথিত প্রেমিকাস🅺হ চার জনকে কারাগারে পাঠান♔ো হয়েছে।
শনিবার (৪ জ⛎ুꦓন) বিকেল গ্রেপ্তার আসামিদের বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
শুক্রবার (৩ জুন) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার সোনাইমুড়ী-চꦿাটখিল হাইওয়ে সংলগ্ন মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের সামনে ওই যুবককে হত্যার ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও ভুক্তভোগী জানায়, গত ১ মাস আছে পার্শ্ববর্তী লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ পৌরসভার খোনার বাড়ির আমির হোসেনের মেয়ে আকলিমা আক্তার রুমি (২৩) সঙ্গে মোবাইলে পরিচয় হয় বেগমগঞ্জের নরোত্তমপুর গ্রামের নুরুল ইসলাম মিয়ার ছেলে মো. সুমনের (২২)। পরিচয়ের সূত্র ধরে তাদের দুজনের একাধিকবার মোবাইলে কথা হয়। শুক্রবার বিকেলে রুমি সুমনকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে সোনাইমুড়ী মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের সামনে আসতে বলে। সুমন বিকেল ৫টার দিকে তার বন্ধু চৌমুহনী পৌরসভার করিমপুর এলাকার শাহ জাহানের ছেলে মো. ইয়াছিনকে সঙ্গে নিয়ে ওই এলাকায় যায়। সেখানে গেলে বেগমগঞ্জের নরোত্তমপুর গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে শান্ত (২০), একই গ্রামের এসহাক মিয়ার ছেলে রায়হান (২০), মাহবুবুর রহমানের ছেলে মেহেদী হাসান (২০) ও প্রেমিকা আকলিমা আক্তꩵার রুমিসহ কয়েকজন সুমনকে আটক করে বেধড়ক মারধর করে।
মারধরের এক পর্যায়ে সুমন মাটিতে লুটিয়ে পড়লে হাতুড়ি দিয়ে ♋পিটিয়ে তার দুই পায়ে মারাত্বক জখম করে। পরে একটি ধারালো ছোরা দিয়ে সুমনকে জবাই করতে চাইলে তার চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে প্রেমিকা রুমিসহ কয়েকজনকে আটক করে পুলিশকে খবর দেয়।
খবর পেয়ে সোনাইমুড়ী থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে শান্ত, রায়হান, মেহেদী ও প্রতারক প্রেমিকা আকলিমা আক্তার রুমিকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পুলিশ রক্তাক্ত অবস্থায় সুমনকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নোয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে প্রেরণ করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সোনাইমুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হারুন অর রশিদ জানান, এ ঘটনায় ভিকটিমের বড় ভাই নুর হোসেন বাদী হয়ে সোনাইমুড়ী🅠 থানায় একটি হত্যা চেষ্টা মামলা করেছেন। ওই মামলায় আসামিদের নোয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।