জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় ঝড়-তুফান ছাড়াই ভেঙে পড়🎃ল প্রাচীন শতবর্ষী কৃষ্ণচূড়া গাছ। এ সময় গাছের নিচে পড়ে নিরঞ্জন দাস (৩৫) নামে এক নরসুন্দরে মৃত্যু হয়েছে༒।
শুক্রবার (৩ জুন) দুপুরে উপজেলা𓆉র আদ্রা ইউꦓনিয়নে থুরী কুঠের বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত নিরঞ্জন দাস উপজেলার খাসিমারা এলাকার নরেশ চন্দ্র দাসের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন আদ্রা ইউনিয়নের পূর্ব গুজমানিকা গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে পরিবারের নিয়ে থাকতো। তার ২ মেয়ে ও এক ছেলে। বড় মেয়ে অষ্টম শ্💜রেণিতে পড়াশোনা করে। পরিবার🦄ের একমাত্র ভরসা ছিল নিরঞ্জন দাস।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, থুরী কুঠের বাজারে শতবর্ষী কৃষ্ণচূড়া গাছের নিচে সেলুন ছিল নিহত নিরঞ্জন দাসের। শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে চুল কাটার জন্য তিন জন ওই সেলুনে যান। সেলুনে নিরঞ্জন দাস চুল কাটার কাজ থাকলে হঠাৎ করে শতবর্ষী কৃষ্ণচূড়ার গাছ সেলুনের ওপরে পড়ে। সেলুন থেকে তিনজন বের হতে পারলেও নিরঞ্জন দাস বের হতে পারেনি। গাছের নিচে চাপা পড়েন তিনি। এতে ঘটনাস্থলেই তার 🧸মৃত্যু হয়।
নিরঞ্জনের প্রতিবেশী রাজন মিয়া বলেন, “ঘটনাটি অনেক নির্মম। ছোট্ট থেকে প্রতিদিন দেখেছেন, নিরঞ্জন গাছটির নিচে ছোট্ট একটি ঘর তুলে চুল কাটতেন। তিনি কানেও কম শুনতেন। তবে ভালো ✨চুল কাটতেন। গ্রামের বেশির ভাগ মানুষ তার কাছেই চুল কাটতেন। ওই গাছের নিচের পাতা ও ময়লা-আবর্জনা তিনিই পরিষ্কার করতেন। গাছটির ছায়ার কারণে, গরমের মধ্যে বেশির ভাগ মানুষ তার দোকানে চুল কাটতেন আরামে। আর ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস। যে গাছটি তাকে আশ্রয় দিয়েছিল, সেই গাছটিই তার প্রাণ কেড়ে নিলো।”
আদ্রা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোশারফ হোসেন ব𓆉লেন, “অনেক বড় শতবর্ষী গাছ ছিল। তবে শিকড়গুলো উপড়ে গিয়েছিল। গাছের গোড়াতেও মাটি কম ছিল। ফলে ঝড়-বৃষ্টি ছাড়াই গাছটি ভেঙে পড়েছে। তবে ওই সেলুনে আরও তিনজন ছিলেন। তারা গাছ পড়ার শব্দ পেয়ে, দৌড়ে প্রাণে রক্ষা পান। কিন্তু নিরঞ্জন কানে কম শুনতেন। ফলে বুঝতে পারেননি। তবে গ্রামের সবাই তার মৃত্যুতে শোকাহত। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি তিনিই ছিলেন। তার মৃ♊ত্যুতে পরিবারটি একদম রাস্তায় নেমে গেল।”
মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ময়নুল ইসলাম মৃত্যুর ❀বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “কৃষ্ণচূড়া গাছের নিচে পড়ে নিরঞ্জন দাসের মৃত্যু হয়েছে।”