ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রলীগ ও ছাত্রদল নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে দুই জেলায়। বৃহস্পতিবার (২৬ মে) বিকেলে খুলনা নগরীর সদর থান🅠া ও বিএনপি কার্যালয় এবং পটুয়াখালী পৌর শহরের বনানী মোড়ে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে বেলা ১১টার দিকে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৬৩ জন।
খুলনা
নগরীর কেডি ঘোষ রোডের দলীয় কার্যালয়ের সামনে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দেয় বিএনপি। সমাবেশে যোগ দিতে ছাত্রদলের জেলা ও মহানগরের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন স্থান থেকে ম🅺িছিল নিয়ে পিকচার প্যালেস মোড় হয়ে দলীয় কার্যালয়ের দিকে আসতে থাকেন।
এক পর্যায়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশ-ছ𝄹াত্রলীগের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অর্ধশতাধিক টিয়ার শেল ছুড়েছে পুলিশ। সংঘর্ষে কমপক্ষে ৫০ জন আহত হয়।
বিএনপির সদস্য স💙চিব শফিকুল আ𓄧লম তুহিনসহ ২০ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
পটুয়াখালী
ছাত্রলীগের সঙ্গে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নে🐭তাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পৌর শহরের বনানী মোড়ের বিএনপি কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জেলা যুবদলের সভাপতি মনিরুল ইসলাম লিটনসহ বিএনপির অন্তত ১৩ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
আহতরা হলেন জাকির হোসেন (৪৫), তানভীর আহমেদ (৪৫), ফারুক আলম (৩৯), মো. হাসান (৩৫), রিমানুল ইসলাম রিমু (৪৮), জাহিদুর রহমান বাবু (৪৮), জাফর 𝔍মুন্সি (৪৬), ফারুক মৃধা (৪০), মোকসেদ মৃধা (৩৫), মেহেদী হাসান রাকিব (২৪) ও সৈয়দ শা꧂হাদাৎ (৩০)। এদের মধ্যে পাঁচজনকে পটুয়াখালী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জেলা ছাত্রলীগের স🍎াবেক সভাপতি হাসান সিকদার অভিযোগ, “বিএনপির নেতাকর্মীরা শহরে অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা করেছে।”
জেলা ছাত্রলীগের নেতাক✃র্মীরা তাদের প্রতিহত কর🐻ার চেষ্টা করেছে বলে দাবি করেন তিনি।
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব স্নেহাংশু সরকার কুট্টি জানান, তারা শান্তিপূর্ণভাবে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি পালন করছিলেন। কিন্তু ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত 🍃হন।
পটুয়াখালী সদর থানা🅷র ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।