ভৈরবে এ বছর ৬ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে ধানের চাষ হয়েছে। ধান কাটা, মাড়াই ও শুকানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকের পরিবারের সবাই। তবে শ্রমিক সংকটের কারণে পাকা ধান কেটে ঘরে তোলা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন এ এলাকার কয়েকশ কৃষক। হাজার টাকায়ও মিলছে না ধান কাটার শ্রমিক। এমন পরিস্থিতিতে 🀅দিশেহারা হয়ে বধূনগর গ্রামের কৃষকরা অনেকেই নিজ পরিবারের সদস্যসহ ধান কেটে ঘরে তোলার চেষ্টা করছেন।
জানা যায়, কিশোরগঞ্জের ভৈরবের আগানগর, শ্রীনগর ও সাদেকপুর— এই ৩টি ইউনিয়ন নিয়ে বিস্তৃত একমাত্র হাওর জোয়ানশাহী। এই হাওরের ধানের ওপর নির্ভরশীল প্রায় ১০টি গ্রামের কয়েকশ কৃষক। এ বছর হাওরের পাশের ৩টি চরে চাষ করা ১৫ হেক্টর জমির ধান আগাম বন্যায় ডুবে গিয়ে নষ্ট হয়ে যায়। এই হাওরটি অক্ষত থাকায় আশায় বুক বাঁধেন কৃষকরা। কিন্তু কয়েক দিনের প্রবল বর্ষণ আর ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে বেশির ভাগ জমির ধান নষ্ট হয়। এছাড়া জ🍷মে রয়েছে বৃষ্টির পানি।
এদিকে ধান চাষে খরচের তুলনায় বাজার 🌳দর কম। তার ওপর শ্রমিক সংকট। এ অবস্থা চলতে থাকলে ধান চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে পারেন কৃষকরা।
শ্রীনগর ইউনিয়ন সাবেক চেয়ারম্যান মো. ওসমা🍌ন গনি বলেন, “এ বছর ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। কিন্তু উরার খালের বাঁধ ভেঙে অনেকের কষ্টের ফসল পানিতে ভাসিয়ে নিয়ে গেছে। এক হাজার টাকা করে দিয়েও শ্রমিক মিলছে না। তাই জমিতে ধান কাটছে পরিবারের সদস্যরা।”
ওসমান গনি আরো বলেন, “আমাদের হাওরের যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না। যদি সড়কগুলো পাকা হতো তাহলে ধান কেটে সহজেই বাড়িতে আনা যেত। এতℱে ℱখরচ, শ্রম ও সময় অনেকটাই কমত।”