রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে ছয় দিন ধরে গ্যাস সংযোগ বন্ধ রয়েছে। মঙ্গলবার (১০ মে) থেকে তিতাস গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড ওই এলাকার গ্যাস সংযোগ বন্ধ করে দেয়। বকেয়া বিল পরিশোধ না করায় এবং অবৈধ গ্যাস সংযোগ ঠেকাতে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছ𓄧ে তিতাস। সংযোগ না থাকায় ওই এলাকার বৈধ গ্রাহকরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। অনেকে অভিযোগ করেছেন, তারা নিয়মিত বিল পরিশোধ করে এলেও তাদের সংযোগও বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
গ্রাহকরা বলছেন, তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ কোনো ধরনের বিজ্ঞপ্তি জারি করেনি। কী কারণে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে, তা নিয়ে কোনো বক্তব্যও দেয়নি তিতাস। তবে তিতাসের এমন সিদ্ধান্তে গ্রাহকরা ভোগান্তিতে পড়েছেন। এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে তিতাসের তরফ থেকে বলা হয়েছে, রোববার (১৫ মে) পর্যন্ত সরকারি ছুটির দিন।🍸 এরপর এসব নিয়ে আলোচনা করা হবে। অর্থাৎ সোমবারᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚ (১৬ মে) কামরাঙ্গীরচরের বাসিন্দারা জানতে পারবেন সংযোগ কবে পাওয়া যাবে।
রোববার (১৫ মে) সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, গ্যাস সিলিন্ডারের দাম বৃদ্ধির কারণে এলাকাজুড়ে বিকল্প 🌼হিসেবে মাটির চুলায় রান্না করা হচ্ছে। কেউ আবার ভবনের ছাদেও রান্নার ব্যবস্থা রেখেছেন। এছাড়া মাঝে মাঝে কেরোসিনের চুলারও ব্যবহার দেখা যায়। কেউ কেউ রাইসকুকারও ব্যবহার করছেন। ঢাকার কামরাঙ্গীরচরের বাসিন্দাদের এভাবে চলছে মানবেতর জীবন।
বাসিন্দারা জানান, চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় কাঠ আর কেরোসিনের দামও বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বেꦯড়ে গেছে হোটেলের খাবারের দাম। মধ্যবিত্তের সংসারে বেতনের অর্ধেক যায় বাসা ভাড়ায়, আর এখন অর্ধেক চলে যাচ্ছে খাবারের ব্যবস্থা করতে গিয়ে। মাস চলবে কী দিয়ে।
বৈধ সংযোগ এবং নিয়মꦺিত গ্যাসের বিল দিয়েও অবৈধদের সংযোগের কারণে গ্যাসের সংকটে পড়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন তারা।
কথা হয় কামরাঙ্গ♋ীরচরের বাসিন্দা সখিনা বে𝕴গম, রমজান মিয়া, মমিন আলী, রত্না আক্তার, সেফালী বেগমের সঙ্গে। তারা জানান, তাদের মতো ওই এলাকার বৈধ মোট ১২ হাজার গ্রাহকের এখন লাইন কাটা।
ভবনের ছাদে মাটির চুলায় রান্না করছিলেন সখিনা বেগম। স𝐆খিনা জানান, গ্যাস স🦹ংযোগ দেওয়ার পর থেকেই এখানে গ্যাস সংকট। কিন্তু ছয় দিন ধরে গ্যাস সংযোগ বন্ধ রয়েছে। বাধ্য হয়ে তাকে মাটির চুলায় রান্না করতে হচ্ছে। এদিকে গ্যাস না থাকার পরও বিল দিতে হচ্ছে।
রমজান মিয়া বলেন, “কে♋রোসিনের দামে চলছে অরাজকতা। কোথাও লিটার ৮০ তো কোথাও ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। লাকড়ির চুলায় রান্না করে ধোঁয়ায় কষ্ট পাচ্ছেনꦬ অনেকে। আমরা খুব বিপদে আছি। সারা দিন অফিসে কাজ করে আবার খাবারের চিন্তা করতে হচ্ছে। কিনে আনতে হচ্ছে খাবার।”
মমিন আলী বলেন, “আমরা দিনমজুর, চারদিকে জিনিসপত্রের দাম অনেক। এদিকে গ্যাস না থাকায়ꦏ লাকড়ির চুলায় রান্না করতে হচ্ছে। লাকড়িরও দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়𝔉ীরা। মাঝেমধ্যে লাকড়িও কিনতে পারি না, আমাদের চুলাও জ্বলে না।”
যদি গ্রাহকদের 🎐কাছে বকেয়া পাওনা থাকে, তাহলে তাদের নোটিশ দিয়ে একটা নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিতে পারত তিতাস, এমনটা উল্লেখ করে ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডের কমিশনার মোহাম্মদ হোসেন বলেন, “এখানে গ্যাস সমস্যা বহুদিনের।♌ তাই সবাই লাকড়ির চুলা বা বিকল্প ব্যবস্থায় রান্না করে অভ্যস্ত।”
✨মোহাম্মদ হোসেন আরও জানান, তিতাসের সঙ্গে তার কথা হলে সংস্থাটি জানিয়েছে বৈধ সংযোগের কয়েক গুণ অবৈধ সংযোগ রয়েছে। এতে দিনের পর দিন সরকারি সম্পত্তির অপচয় হচ্ছে। তা ছাড়া বৈধ সংযোগের প্রায় ৬৭ কোটি টাকা সরকারের বকে𝓡য়া রয়েছে। এর জন্য সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
এ বিষয়ে তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. হারুনুর রশীদ মোল্লা এবং পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যানཧ নাজমুল আহসানে🍬র সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করেও তাদের পাওয়া যায়নি।