শেষের পথে মোংলা-খুলনা রেলপথের কাজ

এমএম ফিরোজ, মোংলা প্রকাশিত: মে ১৬, ২০২২, ০৮:৪১ এএম

এগিয়ে চলছে মোংলা-খুলনা রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পের কাজ। করোনা মহামারির কারণে এ প্রকল্পের কাজে সাময়িক ধীরগতি থাকলেও নতুন করে আবারও গতি ফিরেছে। ইতোমধ্যেই রেললꦯাইন, টেলিকমিউনিকেশন, সিগন্যালিং ও রূপসা নদীতে সেতু নির্মাণসহ প্রকল্পের সার্বিক ভৌত অবকাঠামোর ꦓঅগ্রগতির কাজ ৯০ শতাংশ শেষ হয়েছে। বাকি কাজ সম্পন্ন হতে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় লাগবে। এদিকে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে সংশ্লিষ্ট ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারিত হবে কয়েক গুণ।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মোংলা-খুলনা বাংলাদেশ রেলওয়ে বিভাগের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্র নাথ মজুমদার বলেন, “চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে মোংলা-খুলনা♍ রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। এরপর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেই যেকোনো দিন চালু করে দেওয়া হবে এ রেললাইন।”

জানা গেছে, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও মোংলা বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বৃদ্ধিতে বন্দরকে সংযুক্ত করে মোংলা-খুলনা রেললাইন প্রকল্প গ্রহণ করে সরকার। ২০১০ সালের ২১ ডিসেম্বর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পটির অনুমোদন হয়। জমি অধিগ্রহণ, রেললাইন, রেলসেতু নি♚র্মাণসহ সমগ্র প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৮০১ কোটি ৬১ লাখ টাকা। এরপর পাঁচবার সময় বাড়িয়ে সꦰর্বশেষ ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বাড়ানোর প্রস্তাবও অনুমোদিত হয়েছে। এরই সঙ্গে ব্যয় বেড়ে হয়েছে ৪ হাজার ২৬০ কোটি ৮৮ লাখ ৫৯ হাজার টাকা।

চলমান এ প্রকল্পের ভারতীয় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ইরকন ইন্টারন্যাশনালের প্রজেক্ট ম্যানেজার বলরাম দে জানান, এ রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পে ছোট বড় মিলিয়ে ৩১টি ব্রিজ ও ১০৮টি কালভার্ট নির্মাণকাজ শেষꦓ হয়েছে। রূপসা নদীর ওপর রেলসেতুর কাজ ৯৫ শতাংশ শেষ হয়েছে। পাইলিংয়ের কাজ প্রায় সম্পন্ন। এরপর মাত্র দুটি স্প্যান জোড়া লাগবে। এছাড়া এখনো ৯টি ভেকুলার আন্ডারপাসের কাজ বাকি আছে।

মোংলা-খুলনা রেললাইন নির্মাণকাজের প্রকল্প পরিচালক (পিডি) মো. আরিফুজ্জামান জানান, রেলপথের কিছু অংশ, র🌸েলসেতুর ৫ শতাংশ ও ফিনিশিং ওয়ার্ক বাকি আছে। তবে নতুন ডিজাইনের নয়টি রোড আন্ডারপাস নির্মাণ, পাইলের লেন সংখ্যা বৃদ্ধি ও মাটির কাজসহ নতুন কিছু কাজ সংযোজন হয়েছে। সে হিসেবে আগের একশ শতাংশ কাজের সঙ্গে আরও ১২ শতাংশ কাজ বেড়েছে। বর্তমানে রেললাইনের মূল ভৌত অবকাঠামোর ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে বাকি কাজ শেষ হবে। সময় বৃদ্ধির কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, করোনাকালে ভারত থেকে মালামাল আসতে ও নানা সংকটে শুরুতেই নির্মাণ কাজে বিলম্ব হয়েছে।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্✅মদ মুসা বলেন, “চলমান এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে মোংলা বন্দরের গতি আরও সঞ্চার হবে। মোংলা বন্দরের সঙ্গে যুক্ত হবে উত্তরাঞ্চলের পঞ্চগড় ও বাংলাবান্ধা হয়ে ভারতে শিলিগুড়ির রেল যোগাযোগ। ফলে কম খরচে ভারত, নেপাল ও ভুটানের মালামাল পরিবহন সহজ হবে। এতে করে আমদানি-রপ্তানি বৃদ্ধির সঙ্গে কনটেইনার সার্ভিসও বাড়বে।”