উচ্চশব্দে গান শুনে ট্রেনের ছাদে ভ্রমণ করছিলেন এসএসসি পরীক্ষার্থী শাহরিয়ার স্বপ্ন। আপন গতিতে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছুটে চলছিল তখন ‘মহুয়া এক্সপ্রেস’ ট্রেন। ট্রেন যত ছুটে যাচ্ছে গানের তালে ভ্রমণও বেশ উপভোগ করছিল যেন স্বপ্ন। কিন্তু নিরাপত্তাহীনতার এই পক্রিয়ায় চলন্ত ট্রেনে গান শুনে ভ্রমণ উপভোগে নিভে গেল স্বপ্নের জীবনের আলো! যদিও ঘটনার আগেও সে জানতো না কি ঘটতে যাচ্ছে তার জীবনে। আর🦩 জানতে꧃ও পারলো না সে। কারণ, ততক্ষণে স্বপ্ন ভয়াবহ দুর্ঘটনার শিকারে কেবলই একটি লাশ!
নেত্রকোনার সদর উপজেলার ঠাকুরাকোণা ইউনিয়নের ধনাইখালি নদীর ওপরে রেলসেতুতে ঘটে মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনা। বৃহস্পতিবার বিকেলে গ্রামের বাড়ি ম𝄹োহনগঞ্জ থেকে ঈদ শেষে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নেত্রকোনার উদ্দেশে ট্রেন ভ্রমণ করছিল স্বপ্ন।
সে নেত্রকোনা শহরের কুরপাড় এলাকার বাসিন্দ🍌া। স্বপ্ন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্য সোহাগ মিয়ার ছেলে। শহরের আঞ্জুমান আদর্শ সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের সে শিক্ষার্থী। পরিবার সূত্র মতে, মোহনগঞ্জ থেকে ট্রেনটি 🎃যখন বারহাট্টা স্টেশনে পৌঁছে যাত্রাবিরতি নেয়, ঠিক তখন স্বপ্ন বন্ধুবান্ধব নিয়ে ট্রেনের ছাদে উঠে যায়।
ছাদে দাঁড়িয়ে চলন্ত ট্রেনে কানে এয়ারফোন ব্যবহার করে ট্রেন যেদিকে এগিয়ে চলছে ঠিক তার উল্টো দিকে মুখ ফিরিয়ে🧜 শুনতে শুরু করে গান। একসময় ঠাকুরাকোণা ধনাইখালি নদীর ওপরে সেতুতে ট্রেন। গানের তালে মাতোয়ারা স্বপ্ন। অথচ তার সহไপাঠী জাবির চৌধুরী চিৎকার করছে দাঁড়ানো থেকে বসার জন্য। কিন্তু কিছুই শুনতে পেল না স্বপ্ন! এসময় সেতুর সঙ্গে ধাক্কা লেগে মারাত্মকভাবে জখম হয় আর নিভে যায় তার জীবনের আলো। তবে ট্রেন থেকে নদীতে পড়ে যাবার কথা থাকলেও তাৎক্ষণিক তাকে ধরে ফেলেন ছাদে চড়া আরেকজন যাত্রী। এ অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হয় নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল। চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নেত্রকꩲোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শাকের আহমেদ এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছꩵাড়াই স্বপ্ন’র মরদেহ দেওয়া হয়েছে। তবে থানায় অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে।