মাগুরায় প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় জড়ি🐠ত থাকার অভিযোগে ছাত্রলীগ নেতাসহ ছয়জনের নামে ডিজিটাল আইনে মামলা হয়েছ🐎ে।
শনিবার (২⛄৩ এপ্রিল) সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিন উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এই সঙ্গে ওই নেতাকে বহিষ্কার করা হয়ে꧃ছে বলে জানিয়েছেন জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি নাহিদ খান।
মামলায় অভিযুক্তরা হচ্ছেন মাগুরা সরকারি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি ফয়সাল রাব্বি, মাগুরা শহরের ইফতেখার ইসলাম, মহম্মদপুরের শাহানা বেগম ও নিয়োগ পরীক্ষার তিন পরীক্ষার্থী সদর উপজেলার তারানা আফরোজ, মহম্মদপুরের সোহেল রানা এবং ইসমত আরা𝄹 ঝর্না।
ওসি নাসিন উদ্দিন জানান, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস ও ইলেকট্রনিক ডিভাইজের মাধ্যমে পরীক্ষার্থীকে সহযোগিতার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে রাব্বিসহ ছয়জনের নামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। ছাত্রলীগ নেতাসহ ছয়জনকে শনিবার জেল হজতে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষ🧸া চলাকালে মাগুরা পলিটেকনিক কলেজ ও এজি একাডেমি স্কুল কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপ𓆏ক্ষ সূত্রে জানা গেছে, মাগুরা সদরের তারানা আফরোজ, মহম্মদপুরের সোহেল রানা ও একই উপজেলার ইসমত আরা ঝর্না মাগুরা পলিটেকনিক কলেজ ও এজি একাডেমি স্কুল কেন্দ্রে পরীক্ষা দিচ্ছিলেন। অন্যদিকে প্রশ্ন ফাঁস করে কেন্দ্রের বাইরে থেকে রাব্বি, ইফতেখার ইসলাম ও শাহানা ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসের মাধ্যমে তাদের উত্তর বলে দিচ্ছিলেন। যা ওই তিন পরীক্ষার্থꦦী ইলেকট্রনিক ডিভাইসের সাহায্য নিয়ে কানের মধ্যে অতি ক্ষুদ্র ইয়ারফোন ব্যবহার করে উত্তরপত্রে লিখছিলেন। বেশ কিছুক্ষণ পর্যবেক্ষণ করার পর ওই দুই কেন্দ্রের দায়িত্বরত শিক্ষক ও ম্যাজিস্ট্রেট হাতে নাতে বিষয়টি ধরে ফেলেন।
তাদের আটক করলে তারা ইলেকট্রনিক ডিভাইসে সংযুক্ত হিসেবে বাইরে থাকা রাব্বিসহ তিনজনের নাম উল্লেখ করেন। পরে কর্তৃপক্ষ পুলিশের মাধ্যমে তাদের আটক 𒁏করে। পরবর্তীতে এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে ওই ছয়জনের নামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে থানায় মামলা দেওয়া হয়। শনিবার তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
এ প্রসঙ্গে জেলা ছাꦚত্রলীগ সভপতি নাহিদ খান, “ছাত্রলীগ এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি হওয়া জর𓄧ুরি বলে মনে করে। কারণ এ ধরণের অপরাধমূলক কাজ শিক্ষা ব্যবস্থাকে পিছিয়ে দেয়। যা জাতির জন্য হুমকি।”