ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলায় এবার গমের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। এ উপজেলার কৃষক-কৃষাণীরা এখন গম কাটা ও মাড়াইয়ে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন। গম রবি শস্য হিসেবে ঋতু শেষ মাসের চৈত্রেই গম উঠে থাকে।
সরেজমিন উপজেলার নাকাটি, বৈরচু🍌না, হাজীপুর, জাবরহাট ও চন্দরিয়া গমের বাম্পার ফলন হয়েছে। চলতি মৌসুমে ব্যাপক হয়েছ𒊎ে গমের চাষ। গম চাষ করে কৃষকদের সংসারে এসেছে স্বচ্ছলতা।
অগ্রহায়ণ ও পৌষ মাসে জমিতে গম বীজ বপন করা হয়। ফাল্গুনের শেষে ও চৈত্র মাসের প্রথম দিকে গম কাটা ও মাড়াই শুরু হয়। যদিও অনেক জায়গায় এরই মধ্যে গম কাটা ও মাড়াই শুরু হয়েছে। গমের বীজ বপনের পর খুব বেশি সেচ দিতে হয় না। জমি চাষের সময় মাটির নিচে প্রয়োজন মতো জৈব সার ও 🥀চারা বড় হওয়ার কিছুদিন পরেই মাটির উপরে অংশে সামান্য ইউরিয়া সার প্রয়োগে ভালো ফলন পাওয়া যায়। ফলে গম চাষে খরচ হয় কম লাভবান হন কৃষকরা। এ বছর ব্যাপক হারে গম চাষ করেছেন কৃষকরা।
উপজেলার ৭ নম্বর হাজীপুর ইউনিয়নের একান্নপুর গ্রামের ইয়াছিন আলী বলেন, “এবার আমি ৪ একর জমিতে গমের চাষ করেছি। ফলনও ভালো হয়েছে। এবার বিঘা প্রতি ২২-২৫ মণ গমের ফলন হয়েছে। জমিতে ধান, গমসহ বিভিন্ন জাতের ফসল ফলিয়ে তিনি অনেক আনন্দিত। এতে অনেক কৃষক-কৃষাণীর ঘরে শান্তি এসেছে।”
১১ নম্বর বৈরচুনা ইউনিয়নের বৈরচুনা গ্রামের আরিফ ও বাতিয়া জানান, বাতিয়া ২ একর ও আরিফ ৩ একর মাটিতে গমের চাষ করেছে। গতবারের চেয়ে এবাℱর গমের সন্তোষজনক ফলন হয়েছে। কীটনাশক ছাড়াই গমের ফলনে আমরা খুশি ও আনন্দিত।
উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান ও মো. মাইদুল ইসলাম জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় গমের বাম্পার ফলন হয়েছে। চলতি মৌসুমে এবার ১০ হাজার হেক্টর জমিতে গম চাষ হয়েছে। এ উপজেলায় সবচেয়ে বেশি গম চাষ হয়ে থাকে। পলি পড়া জমিতে গম চাষের জন্𒀰য খুবই উপযোগী।