বিবাহিত ও প্রবাসীদের পরিচালনায় লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রদল

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি প্রকাশিত: এপ্রিল ৭, ২০২২, ০৮:১১ পিএম

লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রদলের মেয়াদর্ত্তীণ কমিটি বিবাহিত ব্যবসায়ী ও প্রবাসী দিয়ে চলছে। ১১ সদস্যের আংশিক 🧸🥂কমিটি চার বছরেও পূর্ণাঙ্গ হয়নি।

এদিকে লক্ষ্মীপুর সদর, লক্ষ্মীপুর পৌর, লক্ষ্মীপুর সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও রায়পুর উপজেলাসহ ৭টি ইউনিট কমিটি ৫/৬ বছর হলেও কমিটি দিতে ব্যর্থ হয়েছে জেলা ছাত্রদলের বর্তমান নেত♔ারা।

জেলা ছাত্রদলের ১১ সদস্যের আটজন♈ই বিবাহ🍌িত, ব্যবসায়ী ও প্রবাসী। যাদের কারণে জেলা ছাত্রদলের বিভিন্ন ইউনিট নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ছে। দলীয় বিভিন্ন র্কমসূচিতে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের উপস্থিতি কমছে।

২০১৮ সালের জুন🅺 মাসে হাসান মাহমুদ ইব্রাহিমকে সভাপতি এবং আব্দুল্লাহ আল মামুনকে সাধারণ সম্পাদক করে ১১ সদস্যদের আংশিক জেলা কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুর রহিম রাজন, সহ-সভাপতি জাহিদ হাসান মিশন, গাজী মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, মীর মোশারফ হোসেন আরাফাত, কামাল উদ্দিন রায়হান, আমজাদ হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফখরুল ইসলাম, সোহেল সাংগঠনিক সম্পাদক রেজওয়ান হোসেন আকবর।

জাহিদ হাসান ২০১৯ সাল থেকে সদর পূর্ব উপজেলা কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক ও সম্প্রতি ঘোষিত জেলা কৃষক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক, জসিম উদ্দিন বিদেশ থাকেন, মীর মোশরাফ হোসেন আরাফাত ঢাকায় নিজের ব্যবসা নিয়ে ব🥃্যস্ত, আমজাদ হোসেন জেলা আইনজীবী সমিতির কার্য নির্বাহী সদস্য এবং ফখরুল ইসলাম সোহেল প্রবাসী। তারা একই সঙ্গে বিবাহিত। এদিকে রাজন, আমজাদ হোসেন এবং আব্দুল্লাহ আল মামুন অবিবাহিত। বাকি তিনজনের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

লক্ষ্মীপুর সদর পশ্চিম ছাত্রদলের সভাপতি ও জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আমির আহমেদ রাজু বলেন, “জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুনের খামখেয়ালীর কারণে জেলা ছাত্রদলের কমিটি পূর্ণাঙ্গ ও বিভিন্ন ইউনিট কমিটি 💧দিতে ব্যর্থ হয়েছে।”

লক্ষ্মীপুর পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন ও সদস্য সচিব সৌরভ হোসেন বুলেট বলেন, “বর্তমান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক জেলা কমিটি দিতে ব্যর্থ হয়েছে। ছাত্রদলের শতাধিক নেতা-কর্মী ১০/১২ বছর ধরে আন্দোলন সꦡংগ্রাম করলেও দলীয় পরিচয়হী🦂ন। নতুন করে জেলা কমিটি গঠন করার দাবি জানাই।”

লক্ষ্মীপুর সদর পূর্ব উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আদনান সোহেল বলেন, “জেলা ছাত্রদলের নেতাদের বলেছি পুরাতন কমিটি ভেঙে নতুন🤡 কমিটি দেওয়া জন্য। বারবার বলার পর জেলা ছাত্রদলের নেতারা ৪ বছরেও পূর্ণাঙ্গ করতে পারেনি।”

জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পꦑাদক আব্দুল্লাহ ওআল মামুন তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, “কেনꦜ্দ্রীয় ছাত্রদলের বিভিন্ন র্নিদেশনার কারণে আমরা জেলা ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে গঠন করতে পারিনি।”

বিভিন্ন ইউনিট কমিটি ৫/৭ বছ༺র হলেও সেখানে নতুন কমিটি না দেওয়ার বিষয়ে ওই নেতা বলেন, “আমরা কাজ করছি, কিছু দিনের মধ্যে কমিটিগুলো দেওয়া হবে।”

মামুনের সঙ্গে সুꦏর মিলিয়ে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হাসান মাহমুদ ইব্রাহিম বলেন, “বিভিন্ন কারণে জেলা ছাত্রদলের কমিটি পূর্ণাঙ্গ করা সম্ভব হয়নি। আশা করি 🐭অচিরেই কমিটি পূর্ণাঙ্গ করা হবে।”

লক্ষ্মীপুর জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত সাং🌼গঠনিক নেতা কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান সজিব বলেন, “আমরা বারবার তাগিদ দিয়েছি কমিটি পূর্নাঙ্গ করার জন্য। কী কারণে তারা কমিটি𒀰 দিতে দেরি করছে বিষয়টি তাদের সঙ্গে কথা বলব।”