ফের বেড়েছে তিস্তার পানি

লালমনিরহাট প্রতিনিধি প্রকাশিত: এপ্রিল ৩, ২০২২, ১০:০০ পিএম

উজানে ভারি বৃষ্♍টিপাতের কারণে ফের বেড়েছে তিস্তা নদীর পানি। সেইসঙ্গে তলিয়ে গেছে লালমনিরহাট জেলার তিস্তা চরে লাগানো মরিচ, পেঁয়াজ, রসুনসহ নানা ফসলের ক্ষেত।

রোববার (৩ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় জেলার হাဣতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে পানি প্রবাহ ছিল ৫১ দশমিক ১০ সেন্টিমিটার। যা বিপদসীমার ১৫০ সেন্টিমিটার নিচে।

এর আগে গত ২৮ মার্চ হঠ𝔉াৎ পানি বৃদ্ধি পেয়ে তিস্তার চরে লাগানো বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। আর সেই পানি নেমে যাওয়ার পরপরেই আবারও বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে তিস্তার বুকে চাষাবাদ করা ফসল🌱 ডুবে যাওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়েছেন চাষিরা।

কৃষকরা বলছেন, “প্রতিবছর শ꧟ীতকালে পানি কমে যাওয়ার পর তারা তিস্তার বালুকাময় প্রান্তরে নানারকম ফসল চাষ করেন। এবার চৈত্র মাসে হঠাৎ তিস্তার পানি বাড়ায় কৃষকদের ফসলের ক্ষতি হয়েছে।”

তিস্তা ব্যারেজ এলাকার পেঁয়াজ চাষি দেলোয়ার হোসেন বলেন, “জীবনেও দেখিনি চৈত্র-বৈশাখ মাসে তিস্তার পানি বাড়ে। পানি বাড়ার কারণে আমার ছয় বিঘা পেঁয়াজ ক্ষেত ডুবে নষ্ট হয়েছে। এতে আমাꩲর ৩০ হাজার টাকা লোকসান হয়েছে।&rdqu♕o;

দেলোয়ার হোসেন আরও বলেন, “আমি অভাবী মানুষ। নিজের জায়গা-জমি নেই। তাই তিস্তার বুকে চাষাবাদ করে জীবনযাপন করি। এখন আম♛ার অনেক ক্ষতি হলো।”

তিস্তাপারের আরেক কৃষক কদম আলী বলেন, “রোববার সকাল থেকে তিস্তার উজানে পানি বেড়েছে। ♏গত সাতদিনের চেয়ে এখন বেশি পানি রয়েছে।&☂rdquo;

উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়নের কৃষক আব্দুল জলিল বলেন, &lꦿdquo;তিস্তার চরের প্রায় ছয় বিঘা জ꧃মিতে পেঁয়াজ চাষ করেছি। নদীর পানি বাড়ায় পেঁয়াজ পচে নষ্ট হয়ে গেছে। এতে প্রায় ৩২ হাজার টাকা ক্ষতি হয়েছে। এখন আমরা অসহায় হয়ে পড়ছি।”

জানতে চাইলে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদ্দৌলা বলেন, “রোববার সকাল থেকে উজানে বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তায় পানি বেড়েছে। তবে বিপদসীমার অনেক নিচ দিয়ে পানি প🍃্রবাহিত হচ্ছে।”

পানি উন্নয়ন বোর্ডের এই নির্বাহী প্রকৌশলী আরও বলেন, “তিস্তা ব্যারেজ এলাকায় বর্তমানে ছয় হাজার কিউসেক পানি রয়েছে। তবে পানি বৃদ্ধির ফলে তিস্ত🐭ার বুকে চাষ করা কিছু ফসলের ক্ষতি হয়েছে।”

লালমনিরহাট কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শামীম আশরাফ বলেন,🌄 “তিস্তায় পানি আবারও বৃদ্ধি পেয়ে ফসলের ক্ষতি হয়েছে বলে শুনেছি। রংপুরে মিটিংয়ে আছি। সোমবার (৪ এপ্রিল) কৃষকদের খোঁজ-খবর নেওয়া হবে।”