আজ ২৬ মার্চ, ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর জন্য এক আতঙ্কের দিন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে এবং ঢাকা ও চট্টগ্রামে মাদ্রাসাছাত্রদের ওপর পুলিশের হামলার খবরে ২০২১ সালের ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক তাণ্ডব চালায় হဣেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীরা।
গত বছরের ২৬ মার্চ দুপুরে হেফাজতের 🐬নেতা-কর্মীরা প্রথমে হামলা শুরু করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে। এ সময় রেলওয়ে স্টেশনের কন্ট্রোল প্যানেল, টিকিট কাউন্টার ও বুকিং কাউন্টারসহ সম্পূর্ণ স্টেশন আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
এরপর ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত পুলিশ সুপারের কার্যালয়🦩, প্রেসক্লাব, সিভিল সার্জনের কার্যালয়, মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়, পৌরসভা কার্যালয়, জেলা পরিষদ কার্যালয় ও ডাকবাংলো, খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানা ভবন, আলাউদ্দিন সংগীতাঙ্গন, আলাউদ্দিন খাঁ পৌর মিলনায়তন ও শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরসহ ৩৮টি সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এই ঘটনায় 🐈গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন ১২ জন।
জেলা পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, এসব ঘটনায় ৫৬টি মামলা করা হয়। এর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ৪৯টি, আশুগঞ্জ থানায় চারটি, সরাইল থানায় দুটি ও রেলওয়ে থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। এসব মামলায় ৪১৪ জꦯন এজাহারনামীয় আসামিসহ অজ্ঞাতনামা ৩০-৩৫ হাজার মানুষকে আসামি করা হয়। এর মধ্যে ১০টি মামলা সিআইডি, ৯টি পিবিআই, ২৭টি সদর মডেল থানায়, ডিবিতে চারটি, আশুগঞ্জে তিনটি, সরাইলে দুটি ও রেলওয়ে থানায় একটি মামলা তদন্তাধীন আছে। তবে কোনো মামলাতেই অভিযোগপত্র দিতে পারেনি পুলিশ। এসব মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া ৭৫৮ জনের মধ্যে জামিনে আছেন ৬৩৮ জন।
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া নাগরিক ফোরামের সভাপতি পীযূষ কান্তি আচার্য বলেন, “যত দ্রুত সম্ভব এই নারকীয় হামলাগুলোর অভিযোগপত্র দেওয়া হোক। এসব অভিযোগপত্রে যেন 🌱সত্যিকারের যারা দোষী, তাদের আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। পাশাপাশি প্রত্যাশা থাকবে কোনো নিরপরাধ মানুষকে যেন হয়রানি না করা হয়।”
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরি🥂ক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোজাম্মেল হোসেন রেজা বলেন, “আমাদের ✃কাছে যেসব মামলা রয়েছে, তা আমরা গুরুত্বসহকারে দেখছি। সবগুলো মামলায় তদন্তাধীন আছে। তদন্ত শেষে অভিযোগপত্র দেওয়া হবে।”