ভাইকে ফাঁসাতে কিশোরী স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা করান আব্দুর রাজ্জাক মণ্ডল। ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলায় এক ꦬকিশোরীর মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) বিকেলে জেলা ডিবি কার্যালয় থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান জেলা ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিকুল ইসলাম।
নিহত কিশোরীর বয়স ১৫। তিনি ছিলেন একটি পোশাকশ্রমিক, গাজীপুরে কাজ করতেন। আর তার স্বামী ৬০ বছর বয়সী আব্দুর রাজ্জাক মণ্ড🔯লের বাড়ি ধোবাউড়🎐া উপজেলায়।
ডিবি কার্যালয় থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৫ মার্চ সকালে ওই কিশোরীর মরদেহ ধোবাউড়ার একটি ধানক্ষেত থেকে উদ্ধার করা হয়। তার পরনে থাকা প্যান্টের পকেট থেকে পাওয়া যায় মো. শহিদুল্লাহ ও নিহতের জন্মসনদের দুটি ফটোকপি। খোঁজ নিয়ে পুলিশ জানতে পারে, শহিদুল্লাহ হলেন আমিনুল ইসলামের ছেলে। আর মরদেহ যে ধানক্ষেতে প🅷াওয়া গেছে, তার সামনেই আমিনুলের বাড়ি।
ডিবি জানায়, এই সূত্র ধরে তদন্ত শুরু হয়। এরপর জানা যায়, আমিনুলের ভাই আব্দুর রাজ্জাকের൲ স্ত্রী হলেন ওই কিশোরী। জমি নিয়ে আমিনুলের সঙ্গে রাজ্জাকের অনেক দিনের বিরোধ ছিল। সন্দেহের জেরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় গত বুধবার বিকেলে গাজীপুর থেকে আটক করা হয় ঘাতক রাজ্জাককে। এ সময় জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করে জানান, ভাইকে ফাঁসাতে তিনি এ কাজ করেছেন।
ঘাতক রাজ্জাকের বরাতে ডিবি আরও জানায়, ওই কিশোরীর সঙ্গে গাজীপুরেই পরিচয় হয় তার। মেয়েটিকে সাংবাদিক বানানোর প্রলোভন দেখিয়ে মাস দুয়েক আগে তিনি বিয়ে করেন। তবে তা না হওয়ায় তাদের মধ্যে মনোমালিন্য তৈরি হয়। তারা গাজীপ🌊ুরের গাছায় একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন।
অন্যদিকে ভাই আমিনুলের সঙ্গে জমির বিরোধ বাড়তে থাকায়♏ তাকে ফাঁসানোর পরিকল্পনা করেন রাজ্জাক। আর এ জন্য ধোবাউড়ায় পরিচিত দুজনের সহযোগিতা নেন তিনি। পরিকল্পনা অনুযায়ী, কিশোরী স্ত্রীকে নিজ গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে নেওয়ার কথা বলে গত ১৪ মার্চ গাজীপুর থেকে রওনা দেন। পরে ধোবাউড়া পৌঁছে কংশ নদীর তীরে সহযোগীদের সঙ্গে নিয়ে স্ত্রীকে ধর্ষণের পর শ্বাস༺রোধে হত্যা করেন। মরদেহ ভাই আমিনুলের বাড়ির সামনের ওই ক্ষেতে ফেলে রাখেন। সেইসঙ্গে স্ত্রীর প্যান্টের পকেটে ওই কাগজপত্রও রাখেন।
এদিকে রাজ্জাকসহ তিনজনের নামে গতকাল বুধবার মামলা 🌠হয়েছে। অন্যদেღর গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলেও জানান ডিবির ওসি সফিকুল।