কক্সবাজারের চকরিয়ায় বাবার শ্রাদ্ধানুষ্ঠান শেষে বাড়ি ফেরার পথে পিকআপ চাপায় পাঁচ ভাই নিহতের ঘটনায় জღড়িত সেই ঘাতক চালক সাইফুল ইসলামকে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চকরিয়া😼 সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক রাজিব কুমার দেব এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে দুপুরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মালুমঘাট হাইও🍰য়ে থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল হোসেন চালক সাইফুলকে চকরিয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করে সাত দিনের রিমাণ্ডের আবেদন করেন।
পরে শুনানী শেষে আদালত তিন💝 দিনের রিমাণ্ড আবেদন মঞ্জু✃র করেন। ঘাতক চালক সাইফুল ইসলাম (৩০) বান্দরবান জেলার লামা উপজেলার মো. আলী জাফরের ছেলে।
চকরিয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল আদালতের আইনজীবি অ্যাডভোকেট উমর ফারুক বলেন꧂, “উপজেলার মালুমঘাট এলাকায় সবজি বোঝাই একটি দ্রুত গতির পিকআপ চাপায় পাঁচ সহোদর 🌺নিহত হন। এ সময় আরও দুই সহোদর ও এক বোন গুরুতর আহত হন। এ ঘটনার পর থেকে পিকআপ চালক সাইফুল ইসলাম পালিয়ে যান। পরে র্যাব-১৫’র একটি টিম তাকে ঢাকা থেকে আটক করে মামলার তদন্তকারী কমকর্তার কাছে হস্তান্তর করেন।”
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মালুমᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚঘাট হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব✅ুল হোসেন বলেন, “পিকআপ চাপায় পাঁচ ভাইয়ের মৃত্যুর ঘটনায় চালক সাইফুল ইসলামকে রিমাণ্ডে নেওয়া হয়েছে। এটি নিছক দুর্ঘটনা নাকি পরিকল্পিত হত্যা তা খতিয়ে দেখতেই তাকে রিমাণ্ডে নেওয়া হয়েছে।”
এদিকে এক সঙ্গে পাঁচ সন্তান ও স্বামীকে হারিয়ে দিশেহারা মানু রানী সুশীল (৬১)। নিহত স্বামী ও সন্তানদের চি൩ন্তায় খাওয়ার কথাও ভুলে গেছেন তিনি। থেমে থেমে করেন কান্নাকাটি। প্রতিবেশীরা দেখতে গেলে তাকিয়ে থাকেন নির্বাক দৃষ্টিতে।
এর আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি ভোর সাড়ে ৫টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহা🍰সড়কের চকরিয়া উপজেলার মালুমঘাট নার্সারি এলাকায় সবজি বোঝাই দ্রুতগতির একটি পিকআপ চাপায় পাঁচ ভাই নিহত এবং আরও দুই ভাই ও এক বোন গুর꧙ুতর আহত হন। এর মধ্যে রক্তিম সুশীল গুরুতর অবস্থায় চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এছাড়া অপর ভাই প্লাবন সুশীল সামান্য সুস্থ হলেও, বোন হীরা সুশ♒ীল মালুমঘাট মেমোরিয়াল খ্রিষ্ট✤ান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
নিহতদের বাবা প্রয়াত ডা.সুরেশ চন্দ্র সুশীলের শ্রাদ্ধানুষ্টানের পূর্বে ক্ষুদান্ন দান করতে গিয়ে♔ তারা এই ꧙নির্মম দুর্ঘটনার শিকার হন।