সড়ক দুর্ঘটনায় ৫ ভাই নিহত

ঘাতক সেই পিকআপ চালক রিমান্ডে 

কক্সবাজার প্রতিনিধি প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২২, ০৬:২১ পিএম
ঘাতক চালক সাইফুল ইসলাম।

কক্সবাজারের চকরিয়ায় বাবার শ্রাদ্ধা꧟নুষ্ঠান শেষে বাড়ি ফেরার পথে পিকআপ চাপায় পাঁচ ভাই নিহতের ঘটনায় জড়িত সেই🔜 ঘাতক চালক সাইফুল ইসলামকে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চকরিয়া সিনিয়র জুডিসিয়া🐼ল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক রাজিব কুমার দেব এ রিমান্ড মঞ🍰্জুর করেন।

এর আগে দুপুরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মালুমঘাট হাইওয়ে থানা পুলিশের🌠 উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল হোসেন চালক সাইফুলকে চকরিয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করে স🍸াত দিনের রিমাণ্ডের আবেদন করেন। 

পরে শুনানী শেষে আদালত তিন দিনের রিমাণ্ড আবেদন মঞ্জুর করেন। ঘাত🙈ক চালক সাইফুলℱ ইসলাম (৩০) বান্দরবান জেলার লামা উপজেলার মো. আলী জাফরের ছেলে।

চকরিয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল আদালতের আইনজীবি অ্যাডভোকেট উমর ফারুক বলেন, “উপজেলার মালুমঘাট এলাকায় সবজি বোঝাই একটি দ্রুত গতির পিকআপ চাপায় পাঁচ সহোদর নিহত হন। এ সময় আরও দুই সহোদর ও এক বোন গুরুতর আহত হন। এ ঘটনার পর থেকে পিকআপ চালক সাইফুল ইস♔লাম পালিয়ে যান। পরে র‌্যাবಌ-১৫’র একটি টিম তাকে ঢাকা থেকে আটক করে মামলার তদন্তকারী কমকর্তার কাছে হস্তান্তর করেন।” 

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মালুমঘাট হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল হোসেন বলেন, “পিকআপ চাপায় পাঁচ ভাইয়ের মৃত্যুর ঘটনায় চালক সাইফুল ই✅সলামকে রিমাণ্ডে নেওয়া হয়েছে। এটি নিছক দুর্ঘটনা নাকি পরিকল্পিত হত্যা তা খতিয়ে দেখতেই তাকে রিমাণ্ডে নেওয়া হয়েছে।”

এদিকে এক সঙ্গে পাঁচ সন্তান ও স্বামীকে হারিয়ে দিশেহারা মানু রানী সুশীল (৬১)। নিহত স্বামী ও সন্তানদের চিন্তায় খাওয়ার কথাও ভুলে গেছেন তিনি। থেমে থেমে করেন ℱকান্নাকাটি। প্রতিবেশীরা দেখতে গেল🌄ে তাকিয়ে থাকেন নির্বাক দৃষ্টিতে।

এর আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি ভোর সাড়ে ৫টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়া উপজেলার মালুমঘাট নার্সারি এলাকায় সবজি বোঝাই দ্রুতগতির একটি পিকআপ চাপায় পাঁচ ভাই নিহত এবং আরও দুই ভাই ও এক বোন গুরুতর আহত হন। এর মধ্যে রক্তিম সুশীল গুরুতর অবস্থায় চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসা💦ধীন রয়েছেন। 

এছাড়া অপꦦর ভাই প্লাবন সুশীল সামান্য সুস্থ হলেও, বোন হীরা সুশীল মালুমঘাট মেমোরিয়াল খ﷽্রিষ্টান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

নিহতদের বাবা প্রয়াত ডা.সুরেশ চন্দ্র সুশীলে🦄র শ্রাদ্ধানুষ্টানের পূর্বে ক্ষুদান্ন দান করতে গিয়ে তারা এই নির্মম দুর্ঘটনার শিকার হন।