জমি নিয়ে বিরোধ

পৌর মেয়র-কাউন্সিলরসহ ২৬ জন কারাগারে

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২২, ০৭:০৮ পিএম
ছবিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। ইনসেটে রহনপুর পৌর মেয়র মতিউর রহমান খান।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর পৌরসভার মেয়র, কাউন্সিলর ও সার্ভেয়ারসহ মোট ২৬ জন
আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।&💎nbsp;

জমি নিয়ে বিরোধের জেরে মারধরের অভিযোগে হওয়া ম♊ামলায় জামিন না মঞ্জুর করে তাদেরকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন ✱আদালত। 

সোমবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে চাঁপাইনব⛦াবগঞ্জ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এমএম হুমায়ন কবির এ আদেশ প্রদান করেন।

ওই মামলায় রহনপুর পৌর মেয়র মতিউর রহমান খান, ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শফিকুল ইসলাম মুন্না, ৭ নম্বর ওয়ার্༒ড কাউন্সিলর সাদিকুল ইসলাম, পৌরসভার সার্ভেয়ার বারিউল ইসলাম, প্রসাদপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আকবর আলীসহ ২৬ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

রহনপুর পৌরসভার মেয়র মতিউর রহমান মতি খান, দুইজন কাউন্সিলর মো. মুন্না ও
মো. সাদেক আলী এবং পৌরসভার সার্ভেয়ার বারিউল ইসলামসহ ২৬ জনকে আসামীর
সকলকেই কারাগারে পাঠানো হয়েছে। 

মামলার অন্য আসামীরা হলেন : মৃত ইসমাইল কাদরীর ছেলে জামিল আলম কাদরী, তার ভাই বকুল কাদরী, মুকুল কাদরী, একই এলাকার মৃত সাদিকুলের ছেলে মো. নুর, মৃত ভদু মন্ডলের ছেলে অনু, মাদর﷽াসা মোড়ের সাত্তারের ছেলে আতিক, একই এলাকার নাদিম ওরফে টুটুল, মুনুর ছেলে বুলু, কলোনী মোড়ের মৃত কসিমুদ্দিনের ছেলে নাজু, উদয় নগরের বাবলুর ছেলে কাশেম, লতিফের ছেলে রুবেল, মালেকের ছেলে শাহিন, বড়বাজারের মুনসুরের ছেলে পরাগ, যাতাহারার আমিনের ছেলে শরীফ, আফজালের ছেলে মাহিদুর, জালালের ছেলে রফিক, মৃত ভন্ডুল মন্ডলের ছেলে লুথু মন্ডল, কাউয়ুম মাস্টারের ছেলে সাউন, মেসাহাক খানের ছেলে হাবিবুর হবি এবং আফজালের ছেলে রবি। 

জানা যায়, গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপ🙈ুর পৌরসভার নুনগোলা প্রসাদপুর মহল্লার মৃত আনোয়ারুল ইসলামের স্ত্রী নাজমা বেগম বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে আদালতে মারধর ও জমি থেকে উচ্ছেদের অভিযোগ এনে মামলা করেন।

এ বিষয়ে এপিপি আঞ্জুমান আরা জানান, রহনপুর পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত
আনোয়ারুল ইসলামের স্ত্রী নাজমা বেগম🅰 জমি-জমা সংক্রান্ত ঘটনায় মারধরের অভিযোগ এনে রহনপুর পৌর মেয়র মতিউর রহমানসহ মোট ২৬ জনকে আসামি করে মামলা করেন। 

এ মামলায় আজ (সোমবার) দুপুরে মেয়রসহ ২৬ জন আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন আবেদন করেন। এ সময় আদাল🀅ত তাদের জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগ🔯ারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

মামলায় অভিযোগ স🀅ূত্রে জানা যায়, গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর মেয়র মতিউর রহমান মতি খানসহ তার লোকজন নিয়ে বাদী নাজমা বেগমের নিজস্ব জমিতে হামলা করে। এ সময় তার ছেলেদেরকে মারধর করে মেয়রের লোকজন। এছাড়াও পাকা দেয়াল ও ভেঙে পড়ে থাকা নির্মাণ সামগ্রী নিয়ে যায় মেয়রের লোকজন।

এছাড়া হামলার পর মেয়রের বিভিন্ন সময়ে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করেন ম🦄ামলার বাদী নাজমা বেগম। পরে এ নিয়ে গত ১৬ সেপ্টেম্বর আদালতে মামলার আবেদন করেন নাজমা বেগম।

বাদী নাজমা বেগমের বড় ছেলে নাজমুল ফেরদৌস মুঠোফোনে জানান, আমাদের ꦫনিজের জমির উপর মেয়র অহেতুক জুলুম করেছে। এমনকি সন্ত্রাসী নিয়ে এসে হামলা করে আমাদের সীমানা প্রাচীর ভেঙেছে। যা সম্পূর্ণ অন্যায়। এমনকি এসবের পর প্রাণনাশের হুমকিও দিচ্ছিলো আমাদের পরিবারের সদস্যদের। তাই বাধ্য হয়েই আদালতের আশ্রয় নিয়েছি।