পাবনার ঈশ্বরদীতে অপহরণের চারদিন পর অপহৃত যুবক হ𓃲ৃদয় হোসেনের (৪০) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) রাত সোয়া ৯টার দিকে উপজেলার দাশুড়িয়া নওদাপাড়া থেকে ಌলাশটি উদ্ধার করা হয়। হৃদয় উপজেলার পাকশী ইউনিয়নের নত𒆙ুন রূপপর গ্রামের মজনু আলীর ছেলে।
পরিবার সূত্র জানায়, গত শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) সকালꦦ ৯টার দিকে উপজেলার পাকশীর রূপপুর তিনবটতলা এলাকা থেকে হৃদয়কে প্রকাশ্যে মাইক্রোবাসে তুলে অপহরণ করে অপহরণকারীরা। পরে অপহরণকারীরা ওই যুবকের মোবাইল ফোন থেকে কল দিয়ে তার স্বজনদের কাছে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
হৃদয়ের ভাই জীবন হোসেন জানꦰান, সকালে দোকানে আসার পরপরই একটি সাদা মাইক্রোবাস থামে। সেখানে উপস্থিত লোকজন কিছু বুঝে ওঠার আগেই কয়েকজন হৃদয়কে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে পাবনার দিকে চলে যায়। এ ঘটনার পরপরই ঈশ্বরদী থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়।
অপহৃত হৃদয়ের বাবা মজনু আলী জানান, অপহরণের পর শুক্রবার বিকেলে একবার আমার𝔉 ছেলের মোবাইল থেকে আমাকে কল করে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। অপহর⛎ণের দিনই থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলাম। ৪ দিন পর তার লাশ পেলাম।
পাকশী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আতিকুল ইসলাম বলেন, অভিযোগের পর থেকেই আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত ছিল। সোমবার রাতে মুক্𒆙তিপণের দাবিকৃত টাকা নেওয়ার জন্য অপহরণকারী চক্রের এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়♏। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী দাশুড়িয়া-লালন শাহ সেতুর মহাসড়কের নওদাপাড়া দোতলা মসজিদ সংলগ্ন চাঁদ আলী নামের একব্যক্তির বাড়ি থেকে হৃদয়ের লাশ উদ্ধার করা হয়। চক্রটি ওই বাড়িটি ভাড়া নিয়ে তাদের অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছিল।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আস🎃াদুজ্জামান আসাদ বলেন, অপহরণকারীরা হয়তো অপহরণের এক-দুদিন পরেই হৃদয়কে মেরে ফেলেছে। লাশটি দিয়ে গন্ধ ছড়িয়েছে। একজন অপহরণকারীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।