১২ ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি কুতুবদিয়ার এলপিজিবাহী জাহাজের আগুন

কক্সবাজার প্রতিনিধি প্রকাশিত: অক্টোবর ১৩, ২০২৪, ০৩:০০ পিএম

কক্সবাজারের কুতুবদিয়ার পশ্চিমে বঙ্গোপসাগরে নোঙর করা এলপিজিবাহী ‘সোফিয়া’ নামের লাইটারেজ জাহাজে লাগা আগুন এখনো ন⛄িয়ন্ত্রণে আসেনি। এ ঘটনায় ৩২ জন জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তবে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। 

শনিবার (১২ অক্টোবর) রাত ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

অগ্নিকাণ্ডের পরপরই খবর পেয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ এবং ক্রুদের উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের কয়েকটি জাহাজ। উদ্ধার ক🧸াজে অংশ নিয়েছে মেটাল শার্ক বোট এবং চারটি অগ্নিনির্বাপণী ও উদ্ধারক꧂ারী দল।

অগ্নিকাণ্ডে♐র তথ্য নিশ্চিত করেছেন কোস্টগার্ড পূর্ব অঞ্চলের গণমাধ্যম কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার খন্দকার মুনিফ তকি। তিনি বলেন, জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে যাচ্ছিল। তবে কোনো দ𝔉েশ থেকে এলপিজি বহন করে আনা হচ্ছিল এবং আগুনের সূত্রপাত কীভাবে হয়েছে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

মুনিফ তকি বলেন, এলপিজি বহনকারী ‘সুফিয়া’ নামের লাইটারেজ জাহাজটি কুতুবদিয়া উপকূলের পশ্চিমে বঙ্গোপসাগরে নোঙর করেছিল। সেখানে আকস্মিক আগুন লেগে যায়। এতে আগুন ভয়াবহ রূপে ছড়িয়ে পড়ে। কুতুবদিয়ার উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে পৌঁছায় নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের কয়েকটি জাহাজ। দুর্ঘটনাকবলিত জাহাজটির আগুন নিয়ন্ত্রণ ও ক্রুদের উদ্ধার কাজ করছে কোস্টগার্ডে ২টি জাহাজ এবং নৌবাহিনীর ৫টি অত্যাধুনিক জাহাজ। বেলা ১১টা পর্যন্ত আগুনের ভয়াবহতা কমওিয়ে আনা সম্ভব হলেও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। জাহাজটির ভেতরে এখনো আগুন জ্বলছে।

কোস্টগার্ডের কর্মকর্তা মুনিফ তকি আরও বলেন, এ পর্যন্ত ৩২ জনকে জীবিত উদ্ধার কর🌄া সম্ভব হয়েছে। তাদের উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর চট্টগ্রামের হোটেল আগ্রাবাদে রাখা হয়েছে। জাহাজটি কোন দেশ থেকে আসছিল এবং কী পরিমাণ এলপিজি ছিল তা জানা যায়নি। এ ছাড়া জাহাজটিতে কতজন ক্রু ছিল তাও নিশ্চিত নয় বলে জানান তিনি।