অন্য একটি কারণে সীতাকুণ্ড বহুদিন ধরেই একটি অনুমোদি💝ত ‘কিলিং ফিল্ড’। জাহাজ কাটায় নিয়োজিত শ্রমিকদের মৃত্যুর ঘটনা কতোটা ভয়াবহ তা বাংলাদেশের খুব কম মানুষই জানে। শ্রমিকদের হাত-পা-ᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚচোখসহ নানা ধরণের অঙ্গহানি ও পঙ্গুত্ব একেবারেই নিয়মিত ঘটনা।
‘পিপলস ডিস্প্যাচ’ এর ২০২১ সালের প্রতিবেদন মতে ২০২০ সালে নথিভুক্ত মৃত্যুর সংখ্যা ২৬। তার আগের পনের বছরে মারা গেছে ২০০ জন। এই সংখ্যা কাগজ-কলমের। আসলে সংখ্যার এক সামান্য অংশ মাত্র। পঙ্গু হয়ে যাওয়া শ্রমিকদের সংখ্যা কয়েক হাজার𒅌।
বাংলাদেশের পত্রপত্রিকার শিল্প-বাণিজ্য পাতায় জাহাজ ভাঙ্গা শিল্পের জয়জয়কার দেখি। নাম হয়েꦰছে ‘শিল্প’ (ইন্ডাস্ট্রি)। এটি শিল্প?
এর অর্থকড়ি ও অর্থকরী দিকটি দারুণ লোভনীয় বলেই ‘শিল্প’ খেতাব জুটল? কিন্তু কাঁচা কড়কড়ে মুনাফা তো ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তা ও শিল্পপতিদের পকেটের জন্য। শ্রমিকের পাওনা তো মৃত্যু, পঙ🌠্গুত্ব, প্রাণঘাতী রোগ-বালাই, স্বল্পায়ু!
জাহাজ-ভাঙা শিল্পের তেল, রাসায়নিক ও অন্যান্য বিষাক্ত তরল ও কঠিন পদার্থের সমাবেশের কারণে পুরো সীতাকুণ্ড প্রাণ-প্রকৃতি-পরিবেশের জন্য এক ভয়ানক হুমকি হয়ে উঠেছে। পরোক্ষভাবে কতো হাজার জন যে পরিবেশগত রোগ-বালাইয়ে প্রতিবছর মরছে, তার হিসাব কি কে꧙উ রাখে?
এবারের ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি একটি ওয়েক-আপ অ্যালার্ম। বন্দর-সংশ্লিষ্ট আয়-উপার্জনের স্বাভাবিকতাকে যেহেতু মানতেই হবে, সীতাকুণ্ডকে বিশেষ অর্থনৈত𝔉িক জোন ঘোষণা করে বিশেষ আঞ্চলিক নিরাপত্তা-বেষ্টনীর অধীনে না আনা গেলে সামনে আরও বড় বড় দুর্যোগ মোকাবেলা করতে হবে।