আম্পায়ার সাথিরা জাকিꦯর জেসি ইস্যুতে তিনটি বিষয় সামনে এসেছে বলে মনে হচ্ছে—‘নারী’, ‘যোগ্যতা’ ও ‘অভিজ্ঞতা’। ওর বিষয়ে যখন লিখছি ও তখন বাংলাদেশ-ভারত নারী টি-টোয়েন্টি ম্যাচ পরিচালনা করার জনꦰ্য সিলেটে। আসুন তিনটি বিষয়ে চোখ রাখি—
১) প্রথমেই বলে রাখি যত জনের সাথে কথা বলেছি, তাতে বুঝেছি মোহামেডান-প্রাইম ব্যাংকের কেউই সেদিন ওকে ‘নারী’ হিসেবে মাঠে দেখেনি। সুতরাং ফেসবুকে যে প্রসঙ্গটা সবচেয়ে উচ্⭕চকিত সেটি 🌟অবান্তর!
২) এখন আসুন ‘যোগ্যতা’ প্রসঙ্গে। ও আম𒉰্পায়ারদের কোর্সে সবচে ভালো যারা করেছে তাদের একজন। ওর ইংরেজি স্কিল আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনা করে বাংলাদেশের এমন অনেক পুরুষ আম্পায়ারের চেয়েও ভালো, ক্রিকেটের আইন-কানুন বিষয়ে সে ভালো জানে। নিজে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছে। ওর পাশে বসে কমেন্ট্রি করার অভিজ্ঞতা থেকে জানি, ও কুইক🐓 লারনার। ৮/১০ বছরের মধ্যে ও যদি আইসিসির এলিট আম্পায়ারও হয়ে যায় তাতে অবাক হবো না! ওর সেই যোগ্যতা আছে, এখন সময় ও পরিশ্রম ওর পক্ষে থাকলেই হয়। এটা মোহামেডান-প্রাইম ব্যাংক ক্লাব সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-খেলোয়াড় সবাই জানেন, আর তাই ওর যোগ্যতা নিয়ে কারো সন্দেহ রয়েছে বলে মনে হয় না। কারণ ক্রিকেট ফ্যাটারনিটির অংশ হিসেবে তারা আমার-আপনার চেয়েও জেসিকে বেশি চেনেন।
৩) ‘অভিজ্ঞতা’ প্রসঙ্গ এসেছে। প্রিমিয়ার লিগে নিঃসন্দেহে নতুন আম্পায়ার জেসি। আর ও যে ম্যাচটা পরিচালনা করছিল ওটা ছিল ‘বিগ ম্যাচ’! সেজন্য কর্মকর্তাদের কেউ কেউ এই প্রসঙ্গটা তুলেছিলেন যে এ ধরনের ম্যাচ ওকে শুরুতেই দেওয়া ঠিক হলো কিনা? প্রিমিয়ার লিগের অনেক ম্যাচেই আম্পায়ার নিয়ে কোনো না কোনো দলের খেদ থাಞকে, এটা আমাদের ক্রিকেট সংস্কৃতিরই অংশ! কিন্তু কেউ লিখিত বা মৌখিক অভিযোগ করেনি। সাংবাদিকতার দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে ‘অফ দ্যা রেকর্ড’! আর তাই দিনশেষে এটা ‘সংবাদ’ হয়নি, হয়েছে “মুখরোচক ইস্যু’। ভারাক্রান্ত হয়েছে সামাজিক মাধ্যম।