রোবটিক্সের প্রতি দিন দিন ঝোঁক বাড়ছে। প্রযুক্তির♑ উন্নতি ও সহজ উপায় খুঁজতে রোবট নিয়ে চলছে নানা গবেষণা। অনেক ক্ষেত্রেই মানুষের বিকল্প হিসেবে রোবট প্রতিস্থাপন যুক্তিযুক্ত হয়েছে। ছোটখাট অনেক কাজে ಞব্যবহার করা হচ্ছে এই প্রযুক্তি। তবে একটি কারখানা কিংবা অফিসে মানুষের বিকল্প হিসেবে কী এই প্রযুক্তি ভাবা যায়?
এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হলে তাকাতে হবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্র সিঙ্গাপুরের দিকে। যেটি মানুষ অসাধ্য ভেবেছে, সেটি এখন তারা বাস্তবে রুপ দিয়েছেন। করোনার প্রকোপে বিশাল সংখ্যক শ্রমিক সংকটে পড়ে এই দ্বীপরাষ্ট্র। সেই ঘাটতি কাটাতে নির্ভশল🍰ীতꦆা বেড়েছে রোবটিক্সের ওপর। ১০ হাজার শ্রমিকের সমান কাজ করে দিচ্ছে মাত্র ৬০০ রোবট।
রয়টার্স বলছে, বর্তমানে সিঙ্গাপুরের বিভিন্ন উৎপাদনমুখী কারখানায় প্রতি ১০ হাজার শ্রমিকের বদলে ৬০৫টি করে রোবট ব্যবহার করা হচ্ছে। যেটি ২০২১ সা🌄লের ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অফ রোবটিক্সের রিপোর্ট অনুযায়ী বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম সংখ্যা। এদিক দিয়ে দক্ষিণ কোরিয়া ব্যবহার করছে ৯৩২টি করে।
সিঙ্গাপুরে এখন প্রায় 🌟সব প্রতিষ্ঠানে মানুষের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে রোবট। হোটেলে খাবার পরিবেশন থেকে শুরু করে নির্মাণ শ্রমিকের কাজ, সব ক্ষেত্রেই ব্যবহার হচ্ছে রোবট। নির্মাণ শিল্পে সার্ভেয়ার থেকে শুরু করে লাইব্রেরিতে বই দেখাশোনা পর্যন্ত এমন অনেক ক্ষেত্রেই রোবট ব্যবহার সম্ভব হয়েছে।
বিদেশি শ্রমিক নির্ভর দেশ সিঙ্গাপুর। করোনার প্রকোপে ২০১৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত বহু শ্রমিক কমে যায়। এরপর রোবটিক্সের দিকে ঝুঁকে তারা। দেশটির নির্মাণ শিল্পে এখন ব্যবহার হচ্ছে `স্পট` নামে চার পা ওয়ালা রোবট। যা মাটি ও নুড়ি স্ক্যান করে কাজের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করতে সক্ষম। এরপর সেসব উপাত্ত ജসরাসরি প্রতিষ্ঠানটির কন্ট্রোল রুমে পাঠিয়ে দেয়। এই রোবটের নির্মাতা মার্কিন প্রতিষ্ঠান বোস্টন ডাইনামিকস।
দেশটির জাতীয় গ্রন্থাগারেও ব্যবহার করা হচ্ছে সেলফ রিডিং রোবট। একটি রোবট দিনে এক লাখ বই স্ক্যান করতে পারে। যা গ্রন্থাগ💯ারের মোট বইয়ের ৩০ শতাংশ। এখন স্টাফদের একটি এꦗকটি করে বইয়ের কল নম্বর পরীক্ষা করতে হয় না। এতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে শ্রমিকের প্রয়োজন অনেকটাই কমে গেছে।
এদিকে আবার ক্রেতাদের সেবা দিতেও ♏ব্যবহার করা হচ্ছে রোবট। ত্রিশটার বেশি মেট্রো স্টেশনের কমিউটারগুলোতে কফি বানিয়ে বিক্রি করছে রোবট।
প্রতিষ্ঠানটির জেনারেল ম্যানেজার মাইকেল ও’কনেল বলেন, আগে এসব পর্যবেক্ষণের জন্য দুজন মানুষের প্রয়োজন হত𒊎ো। সেখানে 💫এখন মাত্র একটি রোবটই তা সম্পন্ন করতে সক্ষম।