৩ নভেম্বর

বাংলাদেশের আরেক অন্ধকার অধ্যায়

কামালউদ্দীন আহমদ প্রকাশিত: নভেম্বর ৩, ২০২২, ০৩:২৯ পিএম

আমার বাবা খুব ভোরে আরমানিটোলা মাঠে হাঁটতে যেতেন। ৪ তারিখেও গিয়ে♐ছিলেন। বাসায় এসে সেই হত্যাকাণ্ডের একটি ভয়াবহ বর্ণনা দিলেন। মাঠের উত্তর দিকে একটি বাড়িতে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামের মৃতদেহ রাখা হয়েছিল। কীভাবে যেন জানলেন সেখানে তাঁকে রাখা 🐷হয়েছে। তিনি গিয়ে দেখলেন তাঁকে একটি খাটে রাখা হয়েছে, কাপড় দিয়ে ঢাকা। 

১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বঙ্গবন্ধুর🎐 খুনিচক্র নির্মমভাবে জাতীয় চার নেতা তাজউদ্দীন আহমদ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামারুজ্জামানকে হত্যা করে। অথচ বঙ্গবন🧜্ধুর অবর্তমানে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এই নেতারাই। 

তাদের নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ডের ভেতর দিয়ে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় আদর্শের প্রকৃত বিকৃতি শুর🔜ু হয়। বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর জাতীয় চার নেতার 🌠একজনকেও জীবিত রাখা সমীচীন মনে করেননি জিয়াউর রহমান ও মোশতাক চক্র এবং তাদের অনুসারীরা। 

খালেদ মোশাররফ সেনাবাহিনীর প্রধান হওয়ার পর যখন ৩২ নম্বর পর্যন্ত একটি মিছিল গিয়েছিল, তখন আশাবাদী ছিলাম হয়তোবা জিয়া-মোশতাক চক্রের অবসান হয়েছে। মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর সেক্টর কমান্ডার খালেদ মোশাররফ যদি সেদিন সেনাবাহিনীর চেইন অব কমান্ড ফিরিয়ে আনা এবং জেলখানায় বন্দি জাতীয় চার নেতাকে মুক্ত করার পদক্ষেপ না-ও নিতেন, তাহলেও হত্যা করা হতো। জেলখানার ভেতরে না হোক, বাইরে হলেও আমাদের জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হতো। হত্যা করা হয়েছে। হত্যার পর হত্যাকারীদের 🍎যে নিরাপদে দেশ ত্যাগ করার সুযেগ করে দেওয়া হয়েছিল, সেটাও ছিল আমাদের অজানা।

বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যরা এখনো নিরাপদ নন। আজকের প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বহুবার হামলার হাত থেকে বেঁচে গিয়েছেন। স্বাধীনতাবিরোধী ও চার নেতার  হত্যাকারীরা এখনো সক্রিয়। এখনো তাদের অপতৎপরতা থেমে নেই।  আ🍃মরা সৌভাগ্যবান যে জাতির পিতার কন্যা, জননেত্রী শেখ হাসিন🐽া ক্ষমতায় আছেন। এই নেতৃত্বই আমাদের নিয়ে গেছে সম্মানের আসনে। এই নেতৃত্বেই আর পথ হারাবে না বাংলাদেশ।

 

লেখক: অধ্যাপক ও কোষাধ্যক্ষ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়