বিএনপির প্রয়াত নেতা তরিকুল ইসলামের স্মরণসভায় নিজেদের মধ্যে বিশৃঙ্খলা শুরু করেন কর্মীরা। এ সময় কর্মীদের শান্ত করার চেষ্টাও করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। পরে পরিস্থিতি শান্ত না হওয়ায় বক্তৃতা বন্ধ করে ডায়াস ছেড়ে চলে যান তিনি। কিছুক্ষণ পর পরিস্থিতি শান্൩ত হলে তিনি আবারো বক্তৃতা শুর🌠ু করেন।
শনিবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে ♔কাকরাইলের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য তরিকুল ইসলামের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভার আয়োজ𒆙ন করে তরিকুল ইসলাম স্মৃতি সংসদ।
একই অনুষ্ঠানে বিএনপির💦 ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুর বক্তব্য দেওয়ার সময়ও নিজেদের মধ্যে কথাকাটাকাটি ও ধাক্কাধাক্কি করেন কর্মীরা। তখন শামসুজ্জামান 👍দুদু কর্মীদের শান্ত করেন। অনুষ্ঠান শেষে গেট দিয়ে বের হওয়ার সময়ও ধাক্কাধাক্কি করেন উপস্থিত নেতাকর্মীরা। এতে কাচের গেটের একটি অংশ ভেঙে যায়।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “আমরা একটি উদারপনꦅ্থি গণতন্ত্রের জন্য লড়াই-সংগ্রাম করছি। তরিকুল ইসলাম জীবন দিয়ে সেই কাজ করে গেছেন। নির্যাতনের কারণে শেষ দিকে তরিকুল ইসলাম ꦯঅসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। বিশেষ করে এরশাদের নির্যাতনের কারণে তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। অসুখের কাছে তিনি পরাজিত হননি। শেষ পর্যন্ত তিনি লড়াই করেছেন কীভাবে বেঁচে থাকা যায়, কীভাবে জনগণের জন্য একটু কাজ করা যায়।
ফখরুল বলেন, “অনেকেই বলে আমরা বুড়ো হয়ে গেছি, সত্য কথা। কিন্তু আরো একটি সত্য রয়েছে- বৃদ্ধের মস্তিষ্ক থেকে যুবকদের স্পনꦍ্দনে দাও। সেই শক্ত হৃদয় স্পন্দন আমরা দেখতে চাই। সেই দৃঢ়, সাহসী, নতুন, নবীন নেতৃত্ব আমরা দেখতে চাই। তাদের পাশে নিয়ে নেতৃত্ব দিয়ে আমরা এগিয়ে যেতে চাই।”
এ সময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমানউꦏল্লাহ আমান, দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সা💦লাম প্রমুখ।