সম্প্রতি বাজারে সিলিন্ডার গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে। এতে অনেকে ꦜদিশেহার🌃া হয়ে পড়েছেন। এক মাসের মধ্যে সিলিন্ডার গ্যাসের এমন দাম বৃদ্ধি নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভের দেখা দিয়েছে।
শনিবার (৬ নভেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সিলিন্ডার গ্যাস মজুদকারী বিক্রেতারা গ্যাসের দাম বৃদ্ধি নিয়ে 🉐উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, হঠাৎ করে এক মাসের মধ্যে এমন দাম বৃদ্ধির কারণে অনেক ক্রেতার সঙ্গে আমাদের যথারীতি বাকবিতণ্ডা হ✱চ্ছে। খুচরা বিক্রেতা যারা আছেন তারাও বেশি দামে নিতে অনাগ্রহ প্রকাশ করছেন।
রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট এলাকার সিলিন্ডার গ্যাস মজুতকারী এলপিজি মোল্লা এন্টারপ্রাইজের মালিক কামাল হোসেন জানান, হঠাৎ করে গ্যাসের দাম বাড়ার কারণে অনেক কাষ্টমার এসে আমাদের সঙ্গে রাগারাগি করছে। তারা মনে করছে আমরা এটাকে গুদামজাত করে বাজারে দাম বাড়িয়ে দিয়েছি। এ নিয়ে আমি ওমেরা গ্যাস কোম্পানির কয়েকজꦗন উর্ধতন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেছিলাম আসলে কেন গ্যাসের দাম বাড়ছে। তারা বলেছেন মূলত এলপিজি গ্যাস উৎপাদনের জন্য প্রোপেন ও বি🌟উটেন যে দুইটি পদার্থ আছে এগুলো বিশ্ববাজারে দাম বেড়েছে। যার কারণে সিলিন্ডার গ্যাস উৎপাদনের ক্ষেত্রে বেশি ব্যায় হচ্ছে। এর জন্য বাজারে বোতলজাত সিলিন্ডার গ্যাসরে দাম বাড়ছে।
রাজধানীর কেরানীগঞ্জ এলাকার বোতলজাত গ্যাস মজুতকারী প্রতিষ্ঠান এমএস এন্টারপ্রাইজের মালিক শাহ নেয়ামত জানান, গত ৪ মাসের মধ্যে বাজারে বেতলজাত সিল☂িন্ডার গ্যাসের দাম কয়েক ধাপে বৃদ্ধি পেয়েছে। সর্বশেষ গত ১ ম🐓াসেই দুই বার গ্যাসের দাম বেড়েছে। গ্যাসের দাম বৃদ্ধি নিয়ে আমাদের সঙ্গে খুচরা ক্রেতাদের প্রতিনিয়ত বাকবিতণ্ডা হচ্ছে।
দাম বৃদ্ধি নিয়ে আমি বোতলজাত গ্যাস কোম্পানির কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেছি। তারা বলেছে সিলিন্ডার গ্যাস উৎপাদনের জন্য বিশ্ববাজারে যে প্রোপেন ও বিউটেন পদার্থ রয়েছে। সেগুলোর দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বাংলাদেশের সিলিন্ডার গ্যাসের বাজারে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ছাড়াও সামনে এই সিল💖িন্ডার গ্যাসের দাম আরে বাড়তে পারে বলে তারা আমাদেরকে জানিয়েছে।
এদিকে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন বা বিপিসির তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে ৪১ লাখ পরিবার এলপিজি ব্꧟যব꧂হার করেন। এ ছাড়াও, বিভিন্ন হোটেল এবং রেস্তোঁরার জন্য প্রতিদিন প্রায় কয়েকলাখ এলপিজি গ্যাসের প্রয়োজন হয়।
কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. শামসুল আলম সংবাদ প্রকাশকে বলেন, বা♋ংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) দায়িত্ব হচ্ছে ভোক্তাদের স্বার্থ সংরক্ষণ করা। বিইআরসির কাছ থেকে ভোক্তাꦬরা ন্যায়বিচার পায়নি। তারা ভোক্তাদের অধিকার সংরক্ষণে ব্যর্থ হয়েছে।
সিলিন্ডার গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির প্রসঙ্গে বিইআরস𒁏ির সমালোচনা করে তিনি বলেন, বিইআরসির দায়িত্ব হচ্ছে ভোক্তাদের অধিকার সুরক্ষা দেওয়া। ভোক্তাদের স্বার্থ এবং অধিকার তখনই সুরক্ষিত হবে, যখন ভোক্তা অযৌক্তিক ব্যয়বৃদ্ধি থেকে রক্ষা পাবে। অথচ অযৌক্তিক ব্যয় ধরে মূল্য বৃদ্ধি কর🥃া হয়েছে।
সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ডা. বদিউল আলম মজুমদার সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “আসলে আমাদের দেশে সকল ধরণের পণ্যের দাম যেভাবে বাড়ছে। তা দিন দিন বিভীষিকাময় লাগামহীন হয়ে উঠছে। আমাদের সাধারণ জনগণের কথা চিন্তা করে এসব নিত্যপ্রয়োজনীয় সকল কিছুর উর্ধ্বগতি দাম নিয়ন্ত্রণে এখনো পর্যন্ত সরকার কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেনি। এদের নিয়ন্ত্রণতো দূরের কথা বরং এদের পক্ষনিয়েই বারবার সাধারণ জনগণের সঙ্গে তা꧃মাশা করা হচ্ছে।”
বদিউল আলম মজুমদার আরও বলেন, “আমরা বাজারে গেলে সবজীর দাম বাড়তি। নিত্যপ্রয়ো💟জনীর সকল মালামালের দাম হুঁহুঁ করে বেড়েই চলছে। কোথায় নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থাগুলো? কোথায় কে কাকে সামলাবে? হঠাৎ করে একমাসের মধ্যে ২ বার সিলিন্ডার গ্যাসের দাম এভাবে বৃদ্ধির কোনো মানে হয় না। এভাবে সব কিছুর দাম বাড়তে থাকলে একদিন সাধারণ জনগণের সাধ্যের বাইরে সব কিছু চলে যাবে। তখন অনেকে আত্মহত্যার পথ বেছে নিবে। বরং সরকারের এখন উচিত যতো দ্রুত সম্ভব বাজার নিয়ন্ত্রণ করা। না ✱হয় আরও ভয়াবহ পরিস্থিতি আমাদের সামনে চলে আসবে।”