আ.লীগ নিষিদ্ধ করা সমীচীন হবে না: আইন উপদেষ্টা

সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক প্রকাশিত: আগস্ট ২৮, ২০২৪, ০৫:০৭ পিএম

রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগ🎶কে নিষিদ্ধ করা সমীচীন হবে না বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।

বুধবার (২৮ আগস্ট) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তি🥂নি𝔍 এ মন্তব্য করেন।

অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, “আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতৃত্বদানকারী দল, বিভিন্ন গণতান্ত্রিক সংগ্রামে তাদের অবদান ছিল। কিন্তু গেল ১৫🌊 বছরে তারা যা করেছে, সেটা তাদের ঐতি🅰হ্যের সঙ্গে যায় না, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে যায় না, বাংলাদেশের ইতিহাসে এক বর্বরতম ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিল আওয়ামী লীগ। এই কর্মকাণ্ডের জন্য ব্যক্তিগত দায় থাকতে পারে, নেতাদের সামষ্টিক দায় থাকতে পারে, কিন্তু দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা সমীচীন হবে বলে আমি মনে করি না।”

আইন উপদেষ্টা আরও বলেন, “যারা বাংলাদেশের অস্তিত্ব ও সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করে না, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতি নস্যাৎ করতে চায়,ꦫ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বৈষম্যহীন ও শোষণহীন সমাজকে ধ্বংস করার জন্য যারা পরিকল্পিতভাবে সশস্ত্র সংগ্রাম করে, তাদের সন্ত্রাসী সংগঠন বলাꦕ উচিত। তবে মতামত প্রকাশ যতটা অবারিত রাখা যায়, ততটাই ভালো।”

জামায়াতের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়টি উল্লেখ করে ড. আসিফ নজরুল বলেন, “আমাদের সমাজে কিছু মহল থেকে বহু বছর যাবত👍 জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার দাবি উঠত। আওয়ামী লীগ এটা কখনোই করে নাই। এমন একটা বিশেষ মুহূর্তে ꦗতারা এটা করেছে, তখন ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান চলছিল। তারা ছাত্র-জনতার এই গণঅভ্যুত্থানকে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, জামাত, বিএনপি, জঙ্গিদের সন্ত্রাস’ আখ্যায়িত করে এই আন্দোলনকে নির্মমভাবে দমন করার চেষ্টায় রত ছিল। তারা জামায়াতকে নিষিদ্ধ করে হঠাৎ করে একটা প্রজ্ঞাপন জারি করে। আওয়ামী লীগ যে গণঅভ্যুত্থানকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বলতে চেয়েছে, আমরা তো সেটার পার্ট হতে পারি না। সেই ন্যারেটিভের পার্ট তো আমরা হতে পারি না।”

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের এই অধ্যাপক বলেন,♔ “আমরা মনে করি, আওয়ামী লীগ কোনো নীতিগত অবস্থান থেকে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করে নাই। তারা রাজনৈতিক অপকৌশলের জন্য, আন্দোলনকে নির্মমভাবে দমন করার জন্য এই ইস্যুটাকে এভাবে ব্যবহার করেছে।”