শেখ হাসিনা এখন কোথায়, মুখ খুলছেন না কেউ

সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক প্রকাশিত: আগস্ট ২৮, ২০২৪, ০৪:১৪ পিএম
শেখ হাসিনা

বৈ𝓡ষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট ক্ষমতা থেকে উৎখাত হলেন বজ্রকঠিন হাতে দেশ চালানো শেখ হাসিনা। এমনকি দেশ ছেড়ে ভারতে চলে𝐆 যান তিনি।

প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনে ওই দিন ছাত্র-জনতার ঢেউ আছড়ে পড়ে। গণ-অভ্যুত্থানের বিজয় উদ্‌যাপন করেন ছাত্র-জনতা। সেই সঙ্গে অবসান ঘটে বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ সময়ের নারী ꦓসরকারপ্রধানের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনেরও।

প্রধানমন্ত্রী হিসেবে হাসিনার শেষ ২৪ ঘণ্টা ছিল ঘটনাবহুল; যা স্মরণে রাখার মতো। এ নিয়ে প্রতিবেদন ক🌼রেছে প্রথম আলো, দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, বার্তা সংস্থা রয়টার্সসহ অন্যান্য গণমাধ্যম।

সরকারবিরোধী বিক্ষোভ প্রশমনে ৪ আগস্ট সন্ধ্যা ৬টায় দেশজুড়ে কারফিউ জারি করেন শেখ হাসিনা। ওই দিন রাতে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদ𒊎ের নিয়ে অনলাইনে একটি বৈঠক করেন। কারফিউ ভেঙে রাস্তꦇায় নেমে আসা বেসামরিক লোকজনের ওপর গুলি না চালাতে বৈঠকে নির্দেশনা দেন তিনি।

পরদিন ৫ আগস্ট ভোরে শেখ হাসিনা কড়া নিরাপত্তাবেষ্টিত প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। বিক্ষোভকারীদের ওপর নিপীড়ন চালা෴নোর জন্য দায়ী পুলিশ বাহিনীও হাসিনাকে জানিয়ে দেয়, তারা পরিস্থিতির ওপর থেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছে। সরকারের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা হাসিনাকে পদত্যাগ করার অনুরোধ জানান। কিন্তু তা প্রত্যাখ্যান করেন তিনি।


অবস্থা বেগতিক দেখে হাসিনা ও তার বোন রেহানা সামরিক হেলিকপ্টারে ওঠেন। বেলা আড়াইটায় ভারত🔴ের উদ্দেশে দেশ ছাড়েন তারা। একেবারে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ক্ষমতা𒁃 আঁকড়ে থাকার চেষ্টা চালানো হাসিনার জীবন ছিল ঝড়ঝঞ্ঝাপূর্ণ।

সোমবার (৫ আগস্ট) সন্ধ্যাতেই চরম নাটকীয় পরিস্থিতিতে দিল্লির কাছে হিন্ডন বিমানঘাঁটিতে এসে অবতরণ করেন বাংলাদেশের সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর যে বিমানে করে তিনি দিল্লিতে এসে নামেন, সেটিতে তার সঙ্গে ছিলেন ছোট বোন শেখ রেহা🐷নাও। ভারত সরকার এর পরদিন দেশের পার্লামেন্টে শেখ হাসিনার দিল্লিতে আসার কথা সরকারিভাবে ঘোষণা করে। সেই অবতরণের পর পুরো তিন সপ্তাহ কেটে গেছে। কিন্তু ভারতে শেখ হাসিনার অবস্থান নিয়ে দিল্লিতে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে প্রায় কিছুই জানানো হয়নি।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত𝓀্র শেখ হাসিনাকে নিয়ে যাবতীয় প্রশ্ন এড়িয়ে যাচ্ছেন, সরকারি পর্যায়েও কোনো বিবৃতি জারি করা হয়নি। তাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া হবে কি না, সেটা নিয়েও দিল্লি এখন পর্যন্ত মুখ খুলছে না।

ফলে ভারতে শেখ হাসিনার অবস্থান নিয়ে নানা🐽 ধরনের জল্পনা ডালপালা মেলছে। ছড়াচ্ছে নানা রকমের গুজবও।

তিনি এখন কোথায় আছেন, কেমন 🎉পরিবেশে আছেন, ভারতেই তিনি আপাতত থেকে যাবেন, নাকি অন্য কোথাও যাবেন? 

দিল্লিতে 🍃শেখ হাসিনার অবস্থান দীর্ঘায়িত হতে পারে—সেই সম্ভাবনা যেমন জোরালো হচܫ্ছে, পাশাপাশি ভারতের তরফে তৃতীয় কোনও ‘বন্ধু’ দেশে তাকে পাঠানোর চেষ্টাও কিন্তু মোটেই থেমে নেই।

এখন পর্যন্ত ভারত সরকারের ঘোষিত অবস্থান হলো, শেখ হাসিনা ভারতে এসেছেন ‘সাময়িকভাবে’। অর্থাৎ ভারত তার চূড়ান্ত গন্তব্য নয়, অন্য কোনও দেশে যাওয়ার পথে তিনি ভারতে থেমেছেন– এটাᩚᩚᩚᩚᩚᩚ⁤⁤⁤⁤ᩚ⁤⁤⁤⁤ᩚ⁤⁤⁤⁤ᩚ𒀱ᩚᩚᩚই এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে দ𒊎িল্লির বক্তব্য।

তবে তিনি কত দিন ভারতে ꦗথাকতে পারেন, সে ব্যাপারে ভারত সরকার এখন অবধি কিছুই বল🦂েনি। পাশাপাশি তাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া হবে কিংবা হবে না, সে ব্যাপারেও একটি শব্দও খরচ করা হয়নি।