বন্যার্তদের পাশে কমিউনিটি ক্লিনিকের ১৪ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী

সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক প্রকাশিত: আগস্ট ২৬, ২০২৪, ০৮:১৮ পিএম
ওষুধ, খাবার ও ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। ছবি : সংগৃহীত

টানা বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে তলিয়ে গেছে দেশের ১১ জেলার নিম্নাঞ্চল। নতুন করে বন্যার পানিতে ডুবেছে সিলেট, লক্ষ্মীপুর ও কক্সবাজার জেলা। তবে এবারের বন্যায় 💧এক নতুন বাংলাদেশ দেখেছে বিশ্ব। যে যেখান থেকে যেভাবে পারছে ভালোবাসার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে। প্রত্যেকে নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। ইতোমধ্যে প্রবল এই বন্যায় বানভাসিদের মাঝে নিজেদের বিলিয়ে দিয়েছেন প্রান্তিক পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্যকর্মীরা।

বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াতে নিজেদের এক দিনের বেতন দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত স্বাস্থ্যকর্মীরা। এ ছাড়া স্বাস্থ্যকর্মীরা বন্যাদুর্গত এলাকার আশ্রয়কেন্দ্র থেকে শুরু করে বন্যার্তদের বাড়ি গিয়ে দিচ্ছেন স্বাস𓆏্থ্যসেবা। বিতরণ করছেন জরুরি ওষুধপত্র, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট। কিছু জায়গায় তৈরি খাবার এবং ত্রাণসামগ্রীও বিতরণ করছেন।

সোমবার (২৬ আগস্ট) বাংলাদেশ সিএইচসিপি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. জাহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত ♏এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জ💞ানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কমিউনিটি ক্লিনিক হেলথ কেয়ার প্রোভাইডাররা (সিএইচসিপি) পানিবন্দি শিশু, নারী-পুরুষ এবং জনসাধারণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণের জন্য বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্র প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার প্রয়োজনীয় ওষুধ বিতরণ ও ✃স্বাস্থ্য শিক্ষা ফলোআপ করছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত বাংলাদেশ সিএইচসিপি অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, “দেশে বন্যা ভয়াবহ পরিস্থিতি রূপ নিয়েছে। চলমান পরিস্থিতিতে সিদ্ধান্ত হয়েছে বন্যার্ত ভাই-বোনদের পাশে থাকতে আ🌟মাদের একদিনের বেতন প্রদান করব। আমাদের নিজেদেরও বেতন দীর্ঘদিন বন্ধ। তবুও এই মুহূর্তে আমাদের ভুক্তভোগী ভাই-বোনদের পাশে দাঁড়িয়েছি। সবাই যার যেমন সামর্থ্য আছে সেখান থেকে ততটুকুই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান করছি।”

[96417]

বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্যক💦র্মী আব্দুর রশিদ বলেন, “আমরা 🧸করোনাকালে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত ছিলাম। শুধু মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভস পরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেবা দিয়েছি। বর্তমানে দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে সবার পাশে আছি।”