বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ রাখার কারণ জানালেন বিদ্যুৎ উপদেষ্টা

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশিত: আগস্ট ২৪, ২০২৪, ০৮:০৯ পিএম
পরিদর্শনকালে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। ছবি : সংগৃহীত

দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যাকবলিত এলাকায় দুর্ঘটনা এড়াতে বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তিনি বলেছেন, “ইতোমধ্যে ক্ষয়ক্ষতির তালিকা তৈরি করা হয়েছে♎। পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত বৈদ্যুতিক লাইন চালু করা হবে।”

শনিবার (২৪ 𝔉🥀আগস্ট) দুপুরে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার পাটুরিয়া ঘাটের অদূরে স্থাপিত একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ৩৫ মেগাওয়াট সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

ফাওজুল কবির খান বলেন, “বিগত সময়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খ⛦াতে অনেক অনিয়ম হয়েছে। ২০১০ সালে দ্রুত জ্বালানি সংগ্রহ আইন করে প্রতিযোগিতা ছাড়াই প্রকল্প দেওয়া হয়েছে। ২০২৬ সাল পর্যন্ত এর মেয়াদ বাড়ানো হয়। ফলে সরকারের খাতিরের লোককে প্রকল্প দেওয়া হয়েছে। দুই দিক থেকেই দুর্নীতি হয়েছে। বেশি দামে বিদ্যুৎ প্রকল্প করা এবং সরকারের ইচ্ছেমতো দাম বাড়িয়ে দেওয়া।”

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, “বিদ্যুৎ বা জ্বালানির মূল্য নির্ধারণ করতে হলে আগে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনে যেতে হতো। এটা তৃতীয় পক্ষের কাজ। তারা সব পক্ষের কথা শুনে সিদ্ধান্ত নেবে। কিন্তু গত বছর কমিশনে একটি ধারা যুক্ত করা হয়েছে, তা হলো সরকার ইচ্ছা করলে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি করℱতে পারবে।”

ফাওজুল কবির খান আরও বলেন, “এখন আর আগের মতো অযৌক্তিকভাবে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি করা হবে না। আমি দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম দিনই ২০১০ সালের আইনের ভবিষ্যৎ প্রয়োগ বন্ধ করে দিয়েছি। 𝓡একই সঙ্গে সরকারের দাম বাড়ানোর ক্ষমতার ধারাটিও বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। এখন থেকে আর মুখ চিনে এবং খাতিরের লোককে প্রকল্প দেওয়ার সুযোগ নেই। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেই🦄 কাজ পেতে হবে।”

[96178]

এ সময় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খন♊িজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. হাবিবুর রহমান, জেলা প্রশাসক রেহেনা আকতার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) সুজন মাহমুদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. বেলাল হোসেন, স্পেক্টা গ্রুপের চেয়ারম্যান খান মোহাম্মদ আফতাব উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।