ফেসবুকে বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে হামলা ও আগুন, মাইকিং করে লোক জড়ো : র‌্যাব

সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক প্রকাশিত: অক্টোবর ২৩, ২০২১, ০১:৫২ পিএম

রংপুরের পীরগঞ্জের বড় করিমপুর গ্রামে জেলেপল্লীতে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার সঙ্গে জড়﷽িত অন্যতম হোতা ও তার সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১৩)।

শনিবার (২৩ অক্টোবর) বেলা ১২টার দিকে রাজধানﷺীর কারওয়ান বাজারে অবস্থিত র‌্যাবের মিডিয়া সেন𓃲্টারে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। আগেরদিন রাতে গাজীপুরের টঙ্গী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন রংপুরের প💝ীরগঞ্জ উপজেলার মো. রাশেদুল হকের ছেলে মো. সৈকত মণ্ডল (২৪) ও তার সহযোগী একই এলাকার মো. মোসলেম উদ্দীনের ছেলে মো. রবিউল ইসলাম (৩৬)।

সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, গত ১৭ অক্টোবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধর্মীয় অবমাননাকর পোস্টকে কেন্দ্র করে রংপুরের পীরগঞ্জের বড় করিমপুর গ্রামের জেলে পল্লীতে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে দুর্বৃত্তরা। এই ঘটনায় দায়ের করা ৩টি মামলার প্রেক্ষিতে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-১৩। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে হামলায় নেতৃত্বদান ও ঘ🥀টনা সংগঠিত করা ব্যক্তিদের সম্পর্কে জানা যায়। তারই ধারাবাহিকতায় এই ঘটনার অন্যতম হোতা সৈকত ও তার সহযোগী রবিউলকে গ্রেপ্তার করা হয়।

কমান্ডার খন্দাকার আল মঈন আরও জানান, গ্রেপ্তারকৃতরা জেলে পল্লীতে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে। তারা জানায়, দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট ও অরাজকতা সৃষ্টির লক্ষ্যে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে তারা ওই💞দিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার ও মাইকিং করে মানুষ জড়ো করা এবং জেলে পল্লীতে হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে।

র‌্যাবের এই পরিচালক আরও জানান, ঘটনার দিন সৈকত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উস্কানিমূলক, বিভ্রান্তিকর ও মিথ্যা তথ্য প্রচারের মাধ্যমে স্থানীয় মানুষজনকে উত্তেজিত করে তোলে। এরপর জেলে পল্লীতে হামলা ও অগ্নিসংযোগেও সাধারণ মানুষকে উদ্বুদ্ধ করে। এমনকি সে গ্রেপ্তারকৃত 𝄹রবিউলকে মাইকিং করে লোকজন জড়ো করতেও নির্দেশনা দিয়েছিল বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে। এই ঘটনার পর সে আত্মগোপনে চলে যায়।

গ্রেপ্তারকৃত রবিউলের বিষয়ে কামন্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, রবিউল পীরগঞ্জে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার অন্যতম উস্কানিদাতা। তিনি জেলে পল্লীতে হামলা ও অগ্নিসংযোগের উদ্দেশে মাইকিং করে উস্কানিমূলক বক্তব্য দেন। মিথ্যাচার করে গ্রামবাসীকে উত্তেজিত করে তোলে এবং হামলার জন্য জড়ো করে। গ্রেপ্তারকৃত সৈকতের নির্দেশনায় তিনি এই হামলায় সশরীরে অংশগ্রহণ ও নির্দেশন দেন বলে জিজ্ঞাস💧াবাদে জানিয়েছে। ঘটনার পর তিনিও আত্মগোপনে চলে যান।