সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে শাহবাগে লেখকদের বিক্ষোভ 

সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক প্রকাশিত: অক্টোবর ১৯, ২০২১, ০৮:১৯ পিএম

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ওপর হামলা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে কবি-সাহিত্যিক-শিল্পী-সাংবাদিকরা ꧒বিক্ষো😼ভ সমাবেশ করেছে।

🅺মঙ্গলবার (১৯ অক্টো🐼বর) বিকাল ৫ টায় রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। কবি-সাহিত্যিক-শিল্পী-সাংবাদিকদের যৌথ উদ্যোগে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ওপর হামলা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে এই সমাবেশ আয়োজিত হয়। 

এতে সম্প্রতি কুমিল্লাসহ 𓃲দেশের বিভিন্ন স্থানে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজামণ্ডপ, বাড়িঘর, দোকানপাটে সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর হামলা, ভাঙচুর, হত্য🐼ার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে অপরাধীদের গ্রেপ্তার এবং বিচারের দাবি করা হয়।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, “কুমিল্লার এক পূজামণ্ডপে কুরআন শরীফ অবমাননা করা হয়েছে বলে গুজব ছড়িয়ে যেভাবে পূজামণ্ডপে হামলা চালিয়ে প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে, তা গভীর ষড়যন্ত্রমূলক। এর রেশ ধরে চাঁদপুর, নোয়াখালী,ꦏ রংপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মন্দির ও বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ করেছে সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী। সরকারের বিচারহীনতার সংস্কৃতির ফলে এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে বলে সকলের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে। দেখা গেছে, অতীতে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ফেসবুকে গুজব ছড়িয়ে হিন্দু ও বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ওপর হামলা করা হয়েছে, অথচ অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা হয়নি।”

বক্তারা আরও বলেন, “বাংলাদেশ সম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। একাত্তরে 🐟হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান সকল ধর্মসম্প্রদায়ের মানুষ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছে। কিন্তু স্বাধীনতা পরবর্তী গত পঞ্চাশ বছরে প্রতিটি সরকার সাম্প্রদায়িক শক্তির সঙ্গে আঁতাত করেছে ক্ষমতার জন্য। দেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বিসর্জন দিয়েছে। ♔৭২-এর সংবিধানের ৩২ অনুচ্ছেদ উপড়ে ফেলে ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল গড়ার সমাবেশে কবি-সাহিত্যিক-শিল্পী-সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে সরকারের প্রতি ৮ (আট) দফা দাবি উত্থাপন করা হয়।

৮ দফা দাবি হলো:

১. এবারের দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রদায়িক হামলাকারীদের চিহ্নিত করে অবিলম্বে গ্রেপ্তার🦄 ও বিচারের ম🐬ুখোমুখি করা।

২. রামু, নাসিরনগর, শাল্লা, কুমিলಞ্লা, হাজীগঞ্জ, নোয়াখালী ও রংপুরে সংগঠিত সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনার প্রকৃত কারণ জনসম্মুখে প্রকাশ করা ও প্রতিটি ঘটনার বিচার করা। অতীতে সাম্প্রদায়িক হামলার হোতা অভিযুক্ত অনেক ব্যক্তিকে রাজনৈতিক দলগুলোতে প্রকাশ্যে কর্মরত দেখা যায়। তাদেরকে চিহ্নিত করে বহিষ্কার ও বিচার করা।

৩. ফেসবুক, ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং ধর্মসভা তথা ওয়াজ মাহফিলে সাম্প্রদায়িক ও নারী🔯বিদ্বেষমূলক বক্তব্য বন্ধের উদ্যোগ নেওয়া।

৪. স্কুল-কলেজের পাঠ্যপুস্তুক থে🐼কে সাম্প্রদায়িক পাঠ বিলুপ্ত করে অসাম্প্রদায়িক পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন করা। 

৫. বহু জাতি এবং বহু ধর্মসম্প্রদায়ের এই দেশের সংবিধান থেকে 'রাষ্ট্রধর্ম' বাতিল করা। 

৬. সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় সরকারি উদ্যোগে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে 🎃ধর্মীয় সংলাপের আয়োজন করা।

৭. সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সারা দেশের সংস্কৃতিচর্চার (নাটক, গান, নৃত🎉্য, যাত্রাপালা, পালাগান, বাউলগান) প্রসার ঘটানো। পাশাপাশি স্বাধীন সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোকে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় প্রাণিত করা।

৮. দেশের প্রতিটি 𝔉ইউনিয়নে একটি করে প꧒াঠাগার ও সংস্কৃতি কেন্দ্র স্থাপন করা।