রাজধানীর মিরপুরের পল্লবীতে কলেজ পড়ুয়া তিন বান্ধবী বাসা থেকে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, স্কুল সার্টিফি༒কেট ও মূল্যবান সামগ্রী নিয়ে উধাও হয়ে গেছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে পরিবারের সদস্যরা♓ তাদের খুঁজে পাচ্ছেন না♐। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।
তাদের পরিবারের দাবি, বিদেশে নেওয়ার প্রলোভনে তাদের নিয়ে গেছে একটি নারী পাচဣারকারী চক্র। এ জন্য তারা বাসা থেকে অর্থ ও স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়েছেন।
নিখোঁজ তিন শিক্ষার্থী হলেন কাজী দিলখুশ জান্নাত নিসা, কানিজ ফাতেমা ও স্নেহা আক্তার। তারা সবাই দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। এর মধ্যে নিসা মিরপুর গার্লস আইডিয়াল ল্যাব🌜রꦍেটরি ইনস্টিটিউট, স্নেহা পল্লবী ডিগ্রি কলেজ ও কানিজ দুয়ারিপাড়া কলেজের শিক্ষার্থী।
এ ঘটনা🍌য় নিসার মা মাহমুদা আক্তার শুক্রবার (১ অক্টোবর) পল্লবী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে যাদের বিবাদী করা হয়েছে, তারা হলেন তরিকুল, রকিবুল ও জিনিয়া। এর মধ্যে﷽ জিনিয়া টিকটকের পরিচিত মুখ। আর তরিকুল ও রকিবুল সহোদর।
অভিযোগে নিসার মা মাহমুদা জানান, তার মেয়ে নিসা ও তার দুই বান্ধবী কানিজ ফাতেমা ও স্নেহাকে বিদেশে নেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ঘরছাড়া করেছে একটি নারী পাচারকারী চক্র। পরিবারের কা𝓀উকে কিছু না বলে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় সবাই নিজ নিজ বাসা থেকে একযোগে বের হয়। তারা বের হওয়ার সময় সবাই বাসা থেকে কয়েক লাখ টাকা, গয়না, স্কুল সার্টিফিকেট ও দামি মোবাইল নꦉিয়ে গেছে।
এছাড়া জান্নাতের বড় বোন আইনজীবী কাজী রওশন দিল আফরোজ বলেন, “আমার বোন ও তার বান্ধবীদের বিদ💧েশে নেওয়ার প্রলোভন দেখানো হয়েছে। এ জন্য তারা গতকাল প্ল্যান করে বাড়ি ছে♉ড়ে পালিয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে সবাই কলেজের পোশাক পরে বের হয়েছে। সবার কাঁধে কলেজের ব্যাগ ছিল।”
তাদের মহল্লার প্রতিবেশী তরিকুল, রকিবুল ও জিনিয়া এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে🥂 দাবি করেন আইনজীবী কাজী রওশন।
রওশন আরও বলেন, &ld🐻quo;তরিকুল আমার বোনের সঙ্গে প্রায় সময় কথা বলত। তরিকুল তাকে (নিসা) বলত, সে অনেক বড় হ্যাকার। আর অনেক বড় কোম্পানির মালিক। আমেরিকায় লোক পাঠায়। আমার বোন নিসা বাসায় এসে আমাকে প্রায় সময় বলত, ‘আপু তরিকুল তোমাকে তার কোম্পানির লিগ্যাল অ্যাডভাইজার পদে চাকরি দেবে’। ঘটনার পর আমরা তরিকুলের বাসায় গিয়ে জানতেဣ পারি, সে ও তার বড় ভাই রকিবুল গতকাল থেকেই বাসায় নেই। তাদের মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়।”
রওশন বলেন, “জিনিয়া নামে তরিকুলের এক টিকটক বান্ধবী রয়েছে। জিনিয়া আমার ছোট বোন ও তার বান্ধবীদেরও পরিচিত। গতাকল জিনিয়ার বাꦕসায় গিয়েছিলাম ওদের ব্যাপারে খোঁজখবর নিতে। কিন্তু জিনিয়া দেখা করেনি। তার পরিবারের সদস্যরা আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছে।”
“আমরা আশঙ্কা করছি, তরিকুল ও জিনিয়ার পরিবার এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত। তারা 🥀জানে আমার বোন ও তার বান্ধবীরা কোথায় আছে।”
পল্লবী থানার এসআই সজীব খান বলেন, “অভিযোগꦰ পাওয়ার পর তরিকুলকে আটক করেছি। তাকে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।”
এছাড়া পল্লবী থানার ওসি পারভেজ ইসলাম বলেন, “আমরা এ ব্যাপারে তদন্🔯ত করছি।”