সয়াবিনের দাম কমার প্রভাব নেই বাজারে

সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক প্রকাশিত: অক্টোবর ৭, ২০২২, ০১:৩১ পিএম

সরকার সয়াবিন তেলের দাম কমালেও তা আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। অর্থাৎ প্রতি লিটার ১৯২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, কোথাও ১৭৮ টাকায় বিক্রি নেই। এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে হাঁসের ডিম ডাবল🐭 সেঞ্চুরি পার করেছে।

শুক্রবার (৭ অক্টোবর) বাজার ঘুরে দেখ🍌া গেছ♏ে, নতুন দামের কোনো প্রভাব নেই বাজারে।

চিনিতে ৬ টাকা বাড়িয়ে ও পাম তেলে ৮ টাকা কমিয়ে নতুন দর নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। এর ফলে খোলা চিনি প্রতি কেজি ৯০ টাকা, সুপার পাম অয়েল প্রতি লিꦐটার ১২৫ টাকা নির্ধারণ হয়েছে।

দাম পুনর্নির্ধারণের এ ঘোষণার পর বাজারে চিনির দাম বেড়েছে। তবে সয়াবিন তেল আগের মতোই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটারপ্রতি ১৪ টাকা কমিয়েছে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন। সোমবার (৩ অক্টোবর) ঘোষিত দাম অন🔯ুযায়ী প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৭৮ টাকা। তবে এখনো বাজারে আগের দাম ১৯২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এ বিষয়ে দোকানদাররা জানান, এখনো নতুন দামে বোতলজাত সয়াবিন♌ তেল বাজারে আসেনি। তারা গায়ের দামেই তেল বিক্রি করছেন।

শুক্রবার রাজধানীর কাওরান বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে প্রতি কেজ𒐪ি করলা ও বেগুন ৮০, পটোল, ঢেঁড়স ও শসা ৬০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে টমেটো ১৪০, গাজর ১২০-১৩০, পেঁপে, কাঁচকলা (৪টি) ও আলু ৩০ টাকা এবং বরবটি ৬০-৭০ টাকা করে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। বাজারে শীতের সবজি হিসেবে পরিচিত শিমের দাম কমেছে ২০ টাকা। গত সপ্তাহে ১ কেজিতে শিম বিক্রি হয়েছে ১৬০ টাকায়, যা এ সপ্তাহে নেমেছে ১৪০ টাকায়। এ ছাড়া ফুলকপি প্রতি পিস ৫০ টাকা ও মুলা প্রতি কেজি ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সবজির মতো শাকের দামও চড়া। প্রতি আঁটি লালশাক ২৫, ডাঁটাশাক ২৫ আর পুঁইশাক বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকায়। এছাড়া প্রতি পিস লাউ ৫০-৭০ ও কুমড়া ৪০-৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

প্রতি কেজি তেলাপিয়া ২০০, রুই ২৫০, পাঙাস ১৬০, সিলভার কার্প ১৪০, কৈ ২২০-২৫০, শিং আকারভেদে ৫০০-৭৫০ এবং চিংড়ি ৬০০-১২০০ টাকায় বি🌃ক্রি হচ্ছে।

মুরগির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে হয়েছে ১৮০ টাকা। এ ছাড়া লেয়ার মুরগি ৩০০ টাকা কেজি এবং সোনালি মুরগি ৩২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে অপরিবর্তিত রয়েছে✨ মাংসের দাম। গরুর মাংস ৭০০ টাকা আর খাসির মাংস ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ম🤪ুরগির ডিমেরꦇ দাম ১৪৫ টাকায় অপরিবর্তিত থাকলে সপ্তাহের ব্যবধানে ৪০ টাকা বেড়েছে হাঁসের ডিমের দাম।

মুসলিম বাজারের ‘আপটেক ডিম হাউজের’ ব্যবসায়ী আবদুল্লাহ গফুর বলেন, “পাঁচ দিন আগেও হাঁসের ডিম ১৭০ টাকা ছিল, সেটা এখন ২১০ টাকা। আমরা প্রতিদিনের মাল প্রতিদিন আনি। আড়ত থেকে বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে, তাই আমাদেরও বেশি দামে ব💃িক্রি করতে হচ্ছে।”

স্কুলশিক্ষক শামসুল আমিন বল𝕴েন, “যুদ্ধের কথা বলে সবকিছুর দাম বাড়ানো হয়েছে। বিশ্ববাজারে সবকিছুর দাম কমেছে এখন। কিন্তু বাংলাদেশে একবার যে জিনিসের দাম বাড়ে, সেটা আর কমে না। অন্যদিকে চিনির দাম বাড়তি হওয়া মাত্র দাম বাড়িয়েছে দোকানদাররা, কিন্তু সয়াবিন তেলের দাম কমলেও তা আগের মতোই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। এটা শুধু বাংলাদেশে সম্ভব।