তপন কুমার, একজন বেসরকারি চাকজীবী। ছয় সদস্যের পরিবার চালানো ছাড়াও দুই ছোট ভ𒀰াইয়ের পড়াশোনার খরচ বহন করেন তিনি। সামনে দুর্গাপূজা। এই বড় উৎসব ঘিরে বাড়তি খরচের দায়িত্ব পড়েছে তার ওপর। এতে শপিংসহ প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী কম দামে কিনতে ছুটছেন রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায়। কিন্তু কোথাও বাজেটের মধ্যে কিছুই মিলছে না। প্রায় সবকিছুর দামই অনেক বেশি। শেষে কম দামে কেনাকাটার আশায় এসেছেন কারওয়ান বাজারে। কিন্তু এখানেও একই চিত্র। কম দামে কিছুই পাওয়া যাচ্ছে না। চিড়া-মুড়ি 🤪ও গুড়ের বাজারে গিয়ে মাথায় হাত পড়েছে তার। দুর্গাপূজায় সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত এই পণ্যগুলোর দাম এভাবে বাড়বে, তা তিনি কল্পনাও করতে পারেননি। সংবাদ প্রকাশকে এমন বিবরণই দিয়েছেন তপন কুমার।
দুর্গাপূজা সামনে রেখে বাড়তে শুরু কর💝েছে চিড়া, মুড়ি ও দানা গুড়ের দাম। রাজধানীর কারওয়ান বাজার, শান্তিনগর বাজার ঘুরে মূল্যবৃদ🥀্ধির এমন চিত্র দেখা গেছে।
পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা বলেছেন, “সামনে দুর্গাপূজার কারণে শুকনা খাবারের চাহিদা বেড়েছে। এ সুযোগে মিল মালিকেরা চিড়া, ಌমুড়ি ও গুড়ের দাম বাড়🔜িয়েছেন।”
দেখা যায়, চিড়া, মুড়ি🤪সহ দানাদার জাতীয় সব গুড়ের দাম গত কয়েক দিনের থেকেও বৃদ্ধি পয়েছে প্রায় ২০ থেকে ৩০ শতাংশ। যার প্রভাব পড়েছে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন🅰বিত্তদের মধ্যে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি সাদা ও লাল চিড়া ৭০-৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, আর খুচরা বাজারে সেটা ৮০ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে চিড়ার♔ দাম কেজিতে ৬-১০ টাকা বেড়েছে। বছরের অন্য সময় সাদা থেকে লাল চিড়া প্রতি কেজি ৫-🍒৭ টাকা বেশি থাকলেও এখন চাহিদা বেশি থাকায় এই দুই পদের চিড়ার দামই সমান। চিড়ার সঙ্গে বেড়েছে গুড়ের দামও।
তিন-চার দিন আগে মানভেদে প্রতি কেজি আখের পাটালি গুড়ের দাম ছিল ১০০ থেকে ১১০ টাকা। খুচরা বাজারে সেটা এখ🤡ন সর্বোচ্চ ১৩০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া খোলা মুড়িও এখন বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকায়। অন্যদিকে প্যাকেটজাত মুড়ির দাম কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১১০-১২০ টাকা পর্যন্ত।
বাজার করতে আসা সঞ্জয় কুমার সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “কিছুদিন আগেও আম🏅ি ৬০-৬৫ টাকায় মুড়ি কিনেছিলাম, যা আজ ৮০ টাকায় কিনতে হচ্ছে🦋। আমার মতো মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য যা খুব কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। দুর্গাপূজাকে উপলক্ষ করে চিড়া, মুড়ির দাম বৃদ্ধি কেন? শুধু মুড়ি নয়, বেড়েছে দানা গুড়সহ চিড়ার দামও। যদি সরকারিভাবে মনিটরিং করা হয়, তাহলে আগের দামে ফেরানো সম্ভব বলে মনে করছি।”
কারওয়ান বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী ইমরান খা🍰ন সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “বাজারে শুকনা খাবারের সরবরাহ কম। এতে এক সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারিতে চিড়া ও মুড়ি ৫০ কেজির প্রতি বস্তায় ২০০-২৫০ টাকা বেড়েছে। আর প্রতি কেজি আখের গুড়ের দাম বেড়েছে ২০ টাকার মতো। মিল মালিকরা দাম বাড়িয়েছেন। এ জন্য দাম বাড়তি। চিড়া-মুড়ির দাম বাড়ার অন্যতম আরেকটি কারণ মিল সিন্ডিকেট। তারা বাজারে সংকট দেখিয়ে দাম বাড়ায়। কেননা দুর্গাপূজায় চিড়া, মুড়ি ও দানা গুড়ের চাহিদা অ🐭নেকাংশে বেশি থাকে।”
এ বিষয়ে অর্থনীতিবিদ ড. আইনুল ইসলাম সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “অর্থনীতিতে চাহিদা ও যোগানের ওপর দাম বৃদ্ধি পায়। সামনে যেহেতু পূজা, তাই পূজা সংশ্লিষ্ট পণ্যগুলো বাজারে চাহিদা অনেক বেশি। সুতরাং সরবরাহ বেশি থাকলে দামও বাড়তে থাকে। তবে, পূজার উপকরণগুলোর মধ্যে অন্যতম চিড়া, মুড়ি ও নারিকেল। তাই এ♏ সময়টাতে এগুলোর চাহিদা বেশি থাকে। তাই ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দেয়।”