আমনের ভরা মৌসুমেও চালে দুঃসংবাদ

সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২২, ২০২৪, ০৯:৫৭ পিএম

আমনের ভরা মৌসুমেও চালের বাজার অস্থ🌌ির। গ্রাম থেকে শুরু করে রাজধানীর ক্রেতারা পর্যন্ত অস্বস্তিতে পড়েছেন। চাষিদের ঘরে ঘরে ঘরে এখন আমন ধান উঠলেও দামে কোনো প্রভাব পড়েনি। ফলে সাধারণ ক্রেতারা যে মৌসুমের দিকে তাকিয়ে ছিলেন তারা পড়েছেন বিপাকে। ভরা মৌসুমেও বেশি দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে সব ধরনের চাল।

বগুড়ার গাবতলীর হালিমা বেগম নামের এক ক্রেতা বললেন, ভা𒊎বছিলাম আমন উঠলে দাম কমবে। তখন সারা বছরের খাবারের জন্য বেশি করে চাল কিনব। কিন্তু 🌃ভরা মৌসুমেও তো দেখছি চালের দাম কমছে না।  

ভরা মৌসুমে সব ধরনের চালের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না অনেকে। দাম বৃদ্ধির জন্য তাই খুচরা, পাইকারি বিক্রেতা আর মিল-মালিকরা পরস্পরকে দুষছেন। খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন পাইকাররা। আর পাইকাররা বলছেন, মিলাররা সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছেন। তাদের তꦿ্রিমুখী দোষারোপের খেলায় হিমশিম খাচ্ছেন সাধারণ ক্রেতারা।

অন্যদিকে, বড় ব্যবসায়ী আর আমদানিকারকরা চালের দাম বাড়ার পেছনে আন্তর্জাতিক বাজারের যুক্তি তুলে ধরছেন। তার🧜া বলছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের চড়া দাম আর ডলারের উচ্চমূল্যের কারণে আমদানি মূল বেড়ে গেছে। ফলে দেশীয় বাজারে সেই প্রভাব পড়ছে। এতে চালের দামও বেড়ে গেছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, খুচরা ও পাইকারি পর্যায়ে চালের দাম এখন ঊর্ধমুখী। গেল দুই সপ্তাহের মধ্যে পাইকার♛িতে ৫০ কেজির বস্তাপ্রতি দাম বেড়েছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত। যার প্রভাব পড়েছে খুচরা পর্যায়ে। সরু ও মিনিকেটের দাম কেজিতে বেড়েছে ৭ থেকে ৮ টাকা। মোটা ও মাঝারি চালের দাম কেজিতে ৪ থেকে ৫ টাকা করে বেড়েছে।

বাজারে সবচেয়ে কম দামের মোটা চাল গুটিস্বর্ণা কেজিতে ৪ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫২ টাকায়। চিকন চাল পাইজাম ৫৮ টাকা এবং মিনিকেটের জন্য গুণতে হচ্ছে মানভেদে ৭২ 🎃থেকে ৭৮ টাকা পর্যন্ত। অভিজাতদের চাল হি𝓰সেবে পরিচিত নাজিরশাইল মিলছে না ৭৫ থেকে ৮০ টাকা কেজির নিচে।

রাষ্ট্রায়াত্ত্ব সংস্থা ট্রেড🌼িং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবᩚᩚᩚᩚᩚᩚ⁤⁤⁤⁤ᩚ⁤⁤⁤⁤ᩚ⁤⁤⁤⁤ᩚ𒀱ᩚᩚᩚি) তথ্যমতে, গেল এক বছরের ব্যবধানে দেশে চিকন ও মাঝারি চালের দাম বেড়েছে ১৪ শতাংশ। আর মোটা চালের দাম ৭ শতাংশের বেশি বেড়েছে।

দাম বাড়ার আরেক কারণ জানাচ্ছেন খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীররা। তাদের অভিযোগ, মিল মালিকরা সিন্ডিকেট করে চালের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। এক বিক্রেতা বললেন, মিলে দাম বেড়েছে। মিলাররা চাল দিতে চায় না। অনেকে নতুন অর্ডারও নি♎চ্ছে না।

যদিও মিল মালিকরা এসব অভিযোগ অস্বীকার করে যুক্তি দেখাচ্ছেন, স্থানীয়ভাবে যে চাল উৎপাদন হচ্ছে, তা দিয়ে চাহিদা মিটছে না। চাহিদা মেটাতে চাল যে আমদানি করা হচ্ছে তার 𒆙দামও বাড়তি। তাছাড়া ডলারের উচ্চমূল্যের প্রভাবও পড়ছে চালের দামে।

ক্রেতারা বলছেন, সংসার𝓀 চালাতে সবারই একটা বাজেট থাকে। মাসে কত টাকা কোন খাতে ব্যয় করা হবে তা নিয়ে হিসাব থাকে। কিন্তু বাজারে জিনিসের দাম বেড়ে গেলে সেই বাজেট ফেল হয়। ফলে প্রয়োজনের চেয়ে কম কিনতে ꦫহয়। তখন ঘাটতি মেটানো কষ্টকর হয়ে যায়।

ধ♓ানের চড়া দামের কারণে যে চালের দাম বেড়েছে সে বিষয়ে যুক্তি দেখাচ্ছেন আড়তদাররা। তারা আমনের ভরা মৌসুমে চালের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে গুটিকয়েক করপোরেট প্রতিষ্ঠানের কারসাজিকেও দায়💮ি করছেন।

এক আড়তদার বললেন, মিলাররা চালের🐭 দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়িয়ে দিয়েছেন। এক-দুইদিনের ব্যবধানেই তারা ২০০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। এমন ইতিহাস কখনও ছিল না। তারা এভাবে দাম না বাড়ালেও পারতেন।

বিষয়টি নিয়ে আমিনুল ইসলাম নামের এক মিল মালꦏিককে প্রশ্ন করা হলে তিনি বললেন,�� আমদানি করা পণ্য খুব ধীরে দেশে আসছে। তাছাড়া সেগুলোর দামও অনেক চড়া। যার প্রভাব পড়েছেন দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারে। আমিনুলের দাবি, আমদানিতে খরচ কমলে দেশের বাজারেও দাম কমে আসবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফেরদৌস আহমেদ নামে এক আমদানিকারক বললেন, ডলারের দাম 🐟বাড়ার কারণে আমদানি খরচ অনেকা বেড়ে গেছে। ফলে খুচরা পর্যায়ে দাম বেড়েছে। সরকার যদি ডলারের দামের লꦿাগাম টানতে পারে তাহলে বাজারে স্বস্তি ফিরবে।