জলাতঙ্ক মুক্ত বিশ্ব গড়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি : প্রধানমন্ত্রী

সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২২, ১১:১৩ এএম

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার দেশে জলাতঙ্ক রোগে মৃত্যু শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসত♎ে ২০০৯ সাল থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে আসছে। জলাতঙ্ক মুক্ত বিশ্ব গড়ার লক্ষ্যেও আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।

বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ‘বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস-♛২০২২’ উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

২০০৯ সালের আগে প্রতিবছর জলাতঙ্ক রোগে মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় দুই সহস্রাধিক ছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “২০১০ সাল থেকে আমাদের সরকার কর্তৃক ‘জাতীয় জলাতঙ্ক নির্মূল কর্মসূচি’ গ্রহণ এবং কার্যকর বাস্তবায়নের ফলে জুলাই ২০২২-এ মৃত্যুর সংখ্যা ২৬ জনে নেমে এসেছে। এমডিজি অর্জনের সাফল্যের ধারাবাহিকতায় এসডিজি ৩.৩ অর্জন এবং ২০৩০ সালের মধ্যে জলাতঙ্ক মুক্ত বিশ্ব গড়ার অঙ্গীকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আমরা নিরলস কাꦅজ করে যাচ্ছি।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা জেলা সদর হাসপাতাল ওꦓ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিনামূল্যে জলাতঙ্ক প্রতিরোধী টিকা সরবরাহ করছি। ব্যাপক হারে জনসচেতনতা বৃদ্ধি, আক্রান্তদের চিকিৎসা ও টিকা প্রদানের পাশাপাশি কুকুরের টিকাদান এবং সংখ্যা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে দেশকে জলাতঙ্কের ঝুঁকি থেকে মুক্ত করতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।”

শেখ হাসিনা বলেন, “আমাদের নির্বাচনী অঙ্গীকার অনুযায়ী, সাড়ে তেরো বছরে আমরা স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছি। ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে আমরা কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করেছিলাম। বিএনপি-জামাত ক্ষমতায় এসে আমাদের সরকারের এই জনকল্যাণমুখী প্রকল্পটি বন্ধ করে দিয়েছিল। ফলে সাধারণ মানুষ স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছিল। ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর, আমরা স্বাস্থ্যসেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে পুনরায় কমিউনিটি ক্লিনিক চালুဣ করি। এ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র চালু করেছি। যেখানে বিনামূল্যে ৩০ প্রকার ওষুধ দেওয়া হচ্ছে।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জাতীয় স🦄্বাস্থ্য নীতি—২০১১ প্রণয়ন করা হয়েছে। সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা অর্জনকে প্রাধান্য দিয়ে অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। সরকার সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পরিকল্পনা গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে অসংক্রামক রোগ প্🥀রতিরোধে ও নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যেও বহুখাত ভিত্তিক কর্মপরিকল্পনা, ২০১৮-২০২৫ বাস্তবায়ন করে চলছে।”

শেখ হাসিনা বলেন, “আমরা দেশের চিকিৎসা সেবার মানোন্নয়ন, সংশ্লিষ্ট অবকাঠামো উন্নয়ন, চিকিৎসা এবং নার্সিং শিক্ষা প্রসারের মাধ্যমে পর্যাপ্ত জনবল সৃষ্টি এবং নিয়োগ, স্বাস্থ্যখাতে তথ্য-প্রযুক্তির ব্য𒁏বহার, আইন ও নীতিমালা প্রণয়নসহ নানা ধরনের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করছি। চিকিৎসা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছি, সাধারণ হাসপাতাল ও বিশেষায়িত হা🧔সপাতালের শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধি করেছি। স্বাস্থ্যখাতে সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবে বাংলাদেশ এমডিজি পুরস্কার, সাউথ-সাউথ পুরস্কার এবং গ্যাভি পুরস্কার অর্জন করেছে।”

সূত্র : বাসস।