যুদ্ধ-নিষেধাজ্ঞা বন্ধ করুন : জাতিসংঘে প্রধানমন্ত্রী

সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২২, ০৯:০৭ এএম

বিশ্বে চলমান সংঘাত পরিস্থিতিতে অস্ত্র প্রতিযোগিতা, যুদ্ধ ও নিষেধাজ্ঞা বন্ধ করতে বিশ্বনেতাদের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।🍨  

তিনি বলেছেন, “বিশ্ব বিবেকের কাছে আমার আবেদন, অস্ত্র প্রতিযোগিতা, যুদ্ধ, নিষেধাজ্ঞা বন্ধ করুন। শিশুকে খাদ্য, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও নিরাপত্ত𓆏া দিন। শান্তি প্রতিষ্ঠা করুন।”

শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর꧂) নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় বিকালে জাতিসংঘের ৭৭তম সাধারণ অধিবেশনে বাংলায় ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।

যুদ্ধ বা একতরফা জবরদস্তিমূলক অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা, পাল্টা-নিষেধাজ্ঞা কখনো কোনো জাতির মঙ্গল বয়ে আনতে পারে না জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি যে সংঘাতের মূল কারণগুলো সমাধান না করে আমরা শান্তি বজায় রাখতে পারি না। পারস্পরিক আলাপ-আলোচনাই সংকট ও বিরোধ নিষ্পত্তির সর্বোত্তম উপায়। আমরা দেখতে চাই, এক🌱টি শান্তিপূর্ণ বিশ্ব, যেখানে থাকবে বর্ধিত সহযোগিতা, সংহতি, পারস্পরিক সমৃদ্ধি এবং ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা। আমাদের একটি মাত্র পৃথিবী এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে এই গ্রহকে আরও সুন্দর করে রেখে যাওয়া আমাদের দায়িত্ব।”

আমরা ইউক্রেন ও রাশিয়ার সংঘাতের অবসান চাই উল্লেখ করে বাংলাদেশের সরকারপ্রধান বলেন, “নিষেধাজ্ঞা, পাল্টা-নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে একটি দেশকে শাস্তি দিতে গিয়ে নারী, শিশুসহ ও গোটা মানবজাতিকেই শাস্তি দেওয়া হয়। এর প্রভাব কেবল একটি দেশেই সীমাবদ্ধ থাকে না বরং সব মানুষের জ🙈ীবন-জীবিকা মহাসংকটে পতিত হয়। মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়। মানুষ খাদ্য, বাসস্থান, চিকিৎসা শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়। বিশেষ করে, শিশুরাই বেশি কষ্ট ভোগ করে। তাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে হারিয়ে যায়।”

তিনি বলেন, “বিশ্বনেতারা সাধারণ পরিষদ হলে ব্যক্তিগতভাবে বিবৃতি বিনিময় করবেন, একটি সংকটপূর্ণ সন্ধিক্ষণ: আন্তঃসংযুক্ত প্রতিকূলতাসমূহের রূপান্তরমূলক সমাধান শীর্ষক এবারের প্রতিপাদ্যটি এসব প্রতিকূলতা মোকাবিলায় এবং আমাদের অর্থনীতিকে পুনরুজ্জ🍌ীবিত করে শান্তিপূর্ণ ও টেকসই পৃথিবী গড়ে তোলার উপায়🍸 খোঁজে বের করার জন্য সকলের ঐক্যবদ্ধ আকাঙ্ক্ষার প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। আর এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য আমাদের এখনই সম্মিলিত উদ্যোগ নিতে হবে।”

শেখ হাসিনা বলেন, “গত আড়াই বছরে বিশ্ব যখন করোনাভাইরাস মহামারির বিধ্বংসী প্রভাব থেকে পুনরুদ্ধার করতে শুরু করেছে, তখন রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত বিশ্বকে একটি সম্মিলিত অনিশ্চয়তায় ꧑নিমজ্জিত করেছে।⭕”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের ক্ষেত্রে সহায়তা-প্রার্থী ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলো এখন আরও প্রতিকূলতার মুখে পড়েছে। ꩲবর্তমান🐻ে আমরা এমন একটি সংকটময় সময় অতিক্রম করছি, যখন অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে অধিক পারস্পরিক সংহতি প্রদর্শন করা আবশ্যক।”

তিনি আরও বল🌳েন, “আমাদের প্রমাণ করতে হবে যে সংকটের মুহূর্তে বহুপাক্ষিক ব্যবস্থার মূল ভিত্তি হলো জাতিসংঘ। তাই সর্বস্তরের জনগণের বিশ্বাস ও আস্থা অর্জনের জন্য জাতিসংঘকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে সবার প্রত্যাশা পূরণে কাজ⛎ করতে হবে।”

কোভিড-১৯ মহামারি প𝔍্রাদুর্ভাবের পর এই প্রথম ১৯৩টি সদস্য দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের সশরীরে উপস্থিতির মাধ্যমে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশন ১৩ থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে সংস্থার সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।