স্বাস্থ্যস⛄েবায় দেশের অনেক উন্নতি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেছেন, “আমাদের সরকার কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করে মান꧑ুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিয়েছে। শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট, কিডনি ইনস্টিটিউটসহ অসংখ্য ইনস্টিটিউট কর💮া হয়েছে।”
বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সুপার স্পেশালাইজড হাস𓃲পাতাল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনায় সারা দেশের হাসপাত🌞ালে নতুন করে ৪০ হাজার শয্যা বেড়েছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উচ্চতর শিক্ষায় অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছেন। পাঁচটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় করা হয়েছে, যা আগে ছিল না। ২৫টি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সরকারি খাতে স্থাপন করা হয়েছে। ১৮ হাজার চিকিৎসক, ২০ হাজার নার্স নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ডিপ্লোমা নার্সদের মর্যাদা বাড়ানো হয়েছে। এ ছাড়াও স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগে নতুন করে ৭ হাজার সিট বেড়েছে। আমরা শতভাগ ওষুধে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি।”
সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল অসংক্রামক রোগের চিকিৎসায় বড় ভূমিকা রাখবে জানিয়ে স্বাস্থ্♊যমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশে অসংক্রামক ব্যাধি যেমন- ক্যান্সার, কিডনি, হৃদরোগ বা ডায়াবেটিসের কারণে প্🐓রায় ৬৭ শতাংশ মৃত্যু ঘটে থাকে। এ হাসপাতালটি অসংক্রামক রোগের উচ্চতর চিকিৎসা দিতে পারবে। আমরা আশা করি এ হাসপাতালের মাধ্যমে বিদেশে গিয়ে চিকিৎসার হার কমবে এবং বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে।”
করোনা নিয়ন্ত🔯্রণে আমাদের প্রধানমন্ত্রী বিশ্বে রোল মডেল উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “করোনা নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ বিশ্বে পঞ্চম হয়েছে। দেশে বর্তমানে করোনায় মৃত্যু নেই বললেই চলে। তবে সংক্রমণের হার এখনো রয়েছে। করোনা নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম স্থান দখল করেছে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে। আমরা প্রধানমন্ত্রীকে💃 এজন্য অভিনন্দন জানাই। একই সফলতা করোনা টিকা কার্যক্রম করে অর্জিত হয়েছে। দেশের মানুষকে এ পর্যন্ত সব মিলিয়ে প্রায় ৩০ কোটি ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে।”
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের স্বাস্থ্যসেবার সব দিকনির্দেশনা দিয়ে গেছেন। তিনি মাত্র তিন বছর সরকার পরিচাౠলনার সময়ে বিএমডিসি (বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল) স্থাপন করেছেন, বিসিপিএস (বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস), বঙ্গ হাসপাতাল, পরিবার পরিকল্পনা, স্যার সলিমুল্লাহ হাসপাতালসহ স্বাস্থ্যখাতে অনেক উন্নয়ন সাধন করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী আজ মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌছে দিতে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করেছেন। সেখানে ৩২ রকমের ওষুধ বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে। বিশেষত মা ও শিশুরা সেখানে নিরাপদ স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছে। এর মাধ্যমে মা ও শিশুর মৃত্যুহারও কমছে।”
তিনি আরও বলেন, “সরকারি হাসপাতালগু𝔉লোতে মানুষ যাতে ঠিকমতো চিকি𓄧ৎসাসেবা পায়, সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এ বিষয়ে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যার সুফল অল্প কিছু দিনের মধ্যেই আমাদের দেশের মানুষ পাবে।”