করোনা মহামারি শেষ হতে না হতেই ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ শুরু হয়েছে। এতে পুরো বিশ্বে বিভিন্ন সংকট তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। বড় ধরনের আমদানি খরচ দিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে রিজার্ভের সংকট দেখা দিয়েছে। এর চ꧃াপ এসে পড়েছে দেশের অর্থনীতিতে। তবে, এটি পুষিয়ে উঠতে সরকার নানা উদ্যোগ নিচ্ছে। এরমধ্যে প্রবাস🍷ীদের রেমিট্যান্স পাঠানোর বিষয় অন্যতম।
দেশের রিজার্ভে বরাবরই প্রবাসীদের রেমিট্যান্স সবচেয়ে বেশি ভূমিকা পালন করে। এর ধারাবাহিকতায় চলতি আগস্ট মাসের প্রথম ৭ দিনে ৫৫ কোটি ডলার দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। বর্তমান বিনিময় হার হিসাবে (প্রতি ডলার ৯৫ টাকা) টাকার অঙ্ক💖ে এই অর্থের পরিমাণ ৫ হাজার ২২৫ কোটি টাকা, যা গত বছরের আগস্টের একই সময়ের চেয়ে ৪৮ দশমিক ২০ শতাংশ বেশি। গত বছরের আগস্টে ৭ দিনে (১ থেকে ৭ আগস্ট) ৩৭ কোটি ১০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা।
বুধবার (১০ আগস꧃্ট) বাংলাদেশ ব্যা🦋ংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুসারে, জুলাই মাসের পর আগস্ট মাসেও রেমিট্যান্স🌳 বা প্রবাসী আয়ের পালে হাওয়া লেগেছে। প্রতিদিন এসেছে গড়ে ৭ কোটি ৮৬ লাখ ডলার বা ৭৪৬ কোটি টাকা।
বাজারে ডলারের ব্যাপক চাহিদা থাকায় ব্যাংকগুলো ১১০ টাকার বেশি দরেও রেমিট্যান্স সংগ্রহ 🍬করছে। সে হিসাবে টাকার অঙ্কে এই অর্থের পরিমাণ আরও বেশি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, “রেমিট্যান্সের ইতিবাচক এই ধারা অব্যাহত থাকবে। আশা করছি জুলাই মাসের মতো আগস্ট মাসেও ২ বিলিয়ন ডলার🐬ের বেশি রেমিট্যান্স আসবে।”
২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ২০৯ ক💦োটি ৬৯ লাখ ১০ হাজার (২.১ বিলিয়ন) ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা, যা ছিল গত ১৪ মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। আর গত বছরের জুলাই মাসের চেয়ে ১২ শতাংশ বেশি।
চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের ১ জুলাই থেকে ৭ আগস্ট পর্যন্ত (১ মাস ৭ দিনে) ২৬৪ কোটি ৭০ꦐ লাখ (২.৬৫ বিলিয়ন) ডলার দেশে এসেছে, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৮ শতাং🧜শ বেশি। ২০২১-২২ অর্থবছরের ১ জুলাই থেকে ৭ আগস্ট পর্যন্ত ২২৪ কোটি ৩০ লাখ (২.২৪ বিলিয়ন) ডলার পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা।