আইএমএফের কাছে যত টাকা চায় বাংলাদেশ

সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক প্রকাশিত: আগস্ট ৯, ২০২২, ০৯:১১ পিএম

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছে মোট সাড়ে ৪ বিলিয়ন বা ৪৫০ 🌺কোটি মার্কিন ডলারের ঋণসহায়তা চায় বাংলাদেশ। এরমধ্যে প্রথম দফায় দেড় বিলিয়ন ডলার চ🐻েয়েছে।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের বরা♋ত দিয়ে লন্ডনভিত্তিক সং♚বাদমাধ্যম ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস এ তথ্য জানিয়েছে।

ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,♉ জলবায়ু সংকট মোকাবিলা এবং বাজেট ঘাটতি পূরণে সবমিলে এ অর্থ চাওয়া হয়েছে। তবে আইএমএফ জানিয়েছে, বাংলাদেশের জন্য অর্থের পরিমাণ এখনও চূড়ান্ত হয়নি, সেজন্য আলো🐈চনা চলছে।

অর্থমন্ত্রী জানান, আইএম❀এফের বাইরে বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক এবং জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার কাছ থেকে আরও চার 🍌বিলিয়ন ডলার ঋণ নিতে চায় বাংলাদেশ।

এই ঋণ পেতে সরকার আশাবাদী বলে জানিয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন: স্বর্ণালঙ্কারের বিনিময় হার কমল

ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসকে মুস্তফা কামাল আরও বলেন, “সবাইকে এখন ভুগতে হচ্ছে। আমরা൩ও চাপের মধ্যে আছি।”

তবে শ্রীলঙ্কার মতো ঋ♛ণখেলাপি হওয়ার ঝুঁকি বাংলাদেশের নেই বলেꦓ মন্তব্য করেন অর্থমন্ত্রী।

ওই প্রতিবেদনে আর🎀ও বলা হয়েছে, “চীনের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’ (বিআরআই) প্রকল্পে অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশ বেইজিংয়ের꧒ কাছেও প্রায় চার বিলিয়ন ডলার বা বাংলাদেশের মোট বৈদেশিক ঋণের ছয় শতাংশ পাওনা রয়েছে।”

এদিকে চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের (বিআরআই) মাধ্যমে ঋণ নেওয়ার বিষয়ে মুস্൩তফা কামাল সতর্ক মনোভাব দেখিয়েছেন। তিনি বলেন, “চীনের বিআরআই ঋণ নেওয়ার আগে অন্তত দুবার ভাবা উচিত। কারণ, বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতি ও প্রবৃদ্ধির মন্থর গতি ঋণগ্রস্ত উদীয়মান দেশগুলোর ওপর চাপ বাড়ায়।”

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ পড়েছে। পণ্যের দাম বাড়ছে। এ পরিপ্রেক্🌸ষিতে গত মাসে এশিয়ার সর্বশেষ দেশ হিসেবে আইএমএফের কাছে অর্থায়নের জন্য যোগাযোগ করে বাংলাদেশ।

বা💦ংলাদেশের আগে এশিয়া দেশ হিসেবে শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানও আইএমএফের কাছে জরুরি তহবিল চেয়েছে। পাকিস্তান তাদের চলমান ৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণ কর্মসূচির পাশাপাশি আরও ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার নেওয়ার বিষয়ে প্রাথমিক ঐকমত্যে পৌঁছেছে। তবে এখনও আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কা।

জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়ায় আমদানি খরচ কমাতে ইতোমধ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ। বিদ্যুৎ উৎপাদন কমিয়ে দেওয়ায় দেশজুড়ে চলছে সিডিউল লোডশেডিং। এরমধ্যে গত শুক্রব💜ার জ্বালানি তেলের দাম এক ধাক্কায় ৫০ শতাংশ 🤡পর্যন্ত বাড়ানো হয়।