প্রায় তিন বছর আগে ২০১৯ সালে আলী নূরের সঙ্গে আহিনা খাত♐ুনের পরিচয় ও গভীর সখ্যতা গড়ে উঠে। সম্পর্কের একপর্যায়ে বিয়ে ছাড়াই তারা দুজন একসঙ্গে বসবাস করতে শুরু করেন।♏ আশুলিয়া এলাকায় গত ৩ বছরে তারা পাঁচ বার বাসা পরিবর্তন করেছেন।
এরপর গত ১৪ জুলাই আহিনা খাতুন জানতে 🔯পারেন, আলী নূর গ্রামে গিয়ে অন্য একটি মেয়েকে বিয়ে করেছেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আলী নূরকে হত্যার পরিকল্পনা কর🐎েন তিনি।
পরে ৩০ জুলাই আশুলিয়ার জিরাবো নামাপাড়া꧙ এলাকার ভাড়া বাসায় ঘুমন্ত আলী নূরকে বটি দিয়ে মাথা, গলা এবং বুকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যান আহিনা খাতুন (২৯)।
বুধবার (৩ আগস্🌸ট) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-৪ (র্যাব) এর অধিনায়ক (সিও) ডিআইজি মো. মোজাম্মেল হক এসব তথ্য জানান।
এ ঘটন🦩ায় মঙ্গলবার (২ আগস্ট) রাতেই অভিযান চালিয়ে নার🃏ায়ণগঞ্জের কাঁচপুর এলাকা থেকে মোছা. আহিনা খাতুনকে (২৯) গ্রেপ্তার করে র্যাব।
♈ঘটনার বিবরণ দিয়ে ডিআইজি মো.🅷 মোজাম্মেল হক বলেন, “আলী নূর বিশ্বাসের বাড়ি মাগুড়া জেলার শ্রীপুর থানার হোগলডাঙ্গা গ্রামে। চাকরির সন্ধানে তিনি ২০১৪ সালে ঢাকায় এসে প্রথমে গার্মেন্টসকর্মী হিসেবে কাজ শুরু করেন। পরে অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ শুরু করেন।”
গত জুলাইয়ের শুরুতে আলী নূর কিছুদিনের জন্য মাগুরায় গ্রামের বাড়ি যান। ওই সময় আহিনা খাতুন জা♐নতে পারেন, আলী নূর গ্রামের অন্য একটি মেয়েকে বিয়ে করেছেন। পরে ১৭ জুলাই ঢাকায় ফিরলে তাদের মধ্যে মান-অভিমান শুরু হয়। না জানিয়ে বিয়ে করায় আলী নূরের ওপর ক্ষিপ্ত হন আহিনা। গোপনে আলী নূরকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।
৩০ জুলাই রাতের খাবার শেষে ঘুমিয়ে পড়ে আলী নূর। ভোরে ঘুমন্ত অবস্থায় তাকে নৃশংসভাবে কꦡুপিয়ে হত্যা করে আলী নূরের মোবাইলসহ প্রয়োজনীয় সবকিছু নিয়ে পালিয়ে যান আহিনা খাতুন। পরে নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর এলাকায় গার্মেন্টসকর্মী পরিচয় দিয়ে ২ হাজার ২০০ টাকায় নতুন একটি বাসা ভাড়া নেন।
আহিনা বিবেকের তাড়𝐆নায় ঘটনার পরদিন ৩১ জুলাই বিকালে আলী নূরের মোবাইল থেকে ভগ্নীপতি জনৈক জাকিরকে জানান, আলী নূর অসু🐟স্থ অবস্থায় আছে তাকে বাঁচান।
পরদিন (১ আগস্ট) দুপুরে আলী নূরের আত্মীয়-স্বজন জিরাবো এলাকায় দেলোয়ার বেপারীর ভাড়া বাড়িতে গিয়ে দেখেন, রুমের দরজা তালাবদ্ধ। বাসার মালিক ও স্থানীয়দের💎 সহায়তায় জানালা খুললে রুমের ভেতর থেকে তীব্র দুর্গন্ধসহ মেঝেতে কাঁথা মো♌ড়ানো অবস্থায় আলী নূরের মরদেহ দেখতে পাওয়া যায়। পরে আশুলিয়া থানা পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।
সুরতহাল ও ময়নাতদন🐎্ত শেষে গত ২ আগস্ট নিহতের বড় ভাই বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
র্যাব-৪ এর অধিনায়ক বলেন, “গ্রেপ্তার আহিনা নীলফামারীর একটি স্কুল থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। ২০১৩ সালে তার প্রথম বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। সেই ঘরের সন্তান♒কে মায়ের কাছে রেখে ২০১৮ সালে তিনি ঢাকায় আসেন ꦗএবং আশুলিয়ার একটি গার্মেন্টসে চাকরি নেন।”