আমরা সবাই জানি বাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ꧙। একসময় ঋতুগুলোর স্বভাব এক-এক রকম ছিল। কিন্তু এখন আর সেই চিত্র দেখা যায় না। এটির প্রমাণ আবারও পাওয়া গেল। সাধারণত জুলাইয়ে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়। 🦩তবে এ বছর জুলাইয়ে আবহাওয়া পরিস্থিতি ছিল অনেকটাই ভিন্ন। বৃষ্টি কম হওয়ায় গরমও বেশি পড়ে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যনুযায়ী, ১৯৮০ সাল থেকে বৃষ্টিপাতের তথ্য নিয়মিত সংরক্ষণ করে আসছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। জুলাই মাসে দেশে গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৫০০ মিলিমিটার। তবে এ বছর জুলাইয়ে গড় বৃষ্টি হয়েছে ২১১ মিলিমিটার। সংস্থাটির হিসাবে, এবারের জুলাইয়ের মতো এত কম বৃষ্টি আগে হয়নি। ২০২০ সালের জুলাইয়ে দেশে গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ৫৫৩ মিলিমিটার। আর গত বছরে তা ছিল ৪৭১ মিলিমিটার। জুলাইয়ে শুধু বৃষ্টি কম হয়েছে, তা নয়। এ সময় 🉐দেশজুড়ে তাপমাত্রাও ছিল বাড়তি।
জানা যায়, গত তিন দশকে এবার জুলাই মাসে দেশে সর্বোচ্চ গড় তাপমাত্রা ছিল ৩৩ দশমিক ৭ ডিগ্র🔜ি সেলসিয়াস। এ বছর জুলাইয়ে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ওই গড়ের তুলনায় ২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও গড়ের তুলনায় প্রায় ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল। ফলে দিন ও রাত—উভয় সময়ে গরম বেশি অনুভূত হয়েছে।
গেল জুলাইয়ে সবচেয়ে বেশ꧂ি তাপমাত্রা ছিল রাজশাহীতে, স্বাভাবিকের চেয়ে ২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। ঢাকায় প্রায় 🎉আড়াই ডিগ্রি বাড়তি তাপমাত্রা ছিল মাসজুড়ে।
এ বিষয়ে আবহাওয়াবিদ মো. আবদুল মান্নান বলেন, “চলꦕতি বছরের শুরু থেকেই আবহাওয়া অস্বাভাবিক আচরণ করছে। গত জুনে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি বৃষ্টি হয়েছে। অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সিলেট অঞ্চলে বন্যা হতে দেখা গেছে। জুলাই মাসে দেশজুড়ে স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক কম বৃষ্টি হয়েছে। আবার জুন ও জুলাই—এ দুই মাসেই দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি তাপমাত্রা ছিল। এমন বাড়তি তাপমাত্রা ও কম বৃষ্টিপাত কৃষি ও পরিবেশের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে।”
এদিকে, জুলাই মাসে ১৮ দিন দেশের কোথাও না কোথাও দাবদাহ বজায় ছিল। এর মধ্যে টানা দাবদাহ ছিল ১৫ দ🅷িন। দাবদাহের দিনের সংখ্যার দিক থেকেও এটি রেকর্ড; অর্থাৎ স্বাধীনতার পর থেকে জুলাই মাসে এত বেশি উষ্ণ দিন দেখা যায়নি।