নতুন জ্যাকেটে অভিযান, ডিবি পরিচয়ধারী ৬ ডাকাত গ্রেপ্তার

সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক প্রকাশিত: আগস্ট ১, ২০২২, ০৫:৪১ পিএম

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের নতুন জ্যাকেট যুক্ত করা হয়েছে। এতে রয়েছে কুইক রেসপন্সꦅ কোড বা কিউআর কোড। যার মাধ্যমে ডিবির প্রকৃত সদস্য কি না তা শনাক্ত করা যাবে। নতুন এই পোশাক পরে অভিযান চালিয়েছে ডিবি। অভিযানে ডিবি পরিচয়ে ডাকাতিতে জড়িত দলের ছয় জনকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা মতিঝিল বিভাগের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও মাদক নিয়ন্ত্রণ টিম। গ্রেপ্তাররা হলেন ফরিদ উদ্দিন (৫০), মো. পারভেজ (৩৫), সাইফুল ই নাদিম (৩০), শফিকুল ইসলাম ওরফে বাবুল (৫০), মো. জসিম (৩৪) ও মো. নাছির (৩৮)। এসময় তাদের কাছ থেকে ডিবি পুলিশ লেখা তিনটি জ্যাকেট, একটি হাতকড়া, একটি লাঠি (স্টেইনলেস স্টিলের), দুটি হোলস্টার, তিনটি পিস্তল সদৃশ খেলনা পিস্তল, একটি ওয়াকিটকি (খেলনা), ইসলামী ব্যাংকের বিভিন্ন নামের অ্যাকাউন্টের পাঁচটি চেক বই, একটি নোয়াহ্ মাইক্রোবাস ও একটি ‘পুলিশ’ লেখা স্টিকার জব্দ করা হয়।

সোমবার (১ আগস্ট) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ🌠 সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন-অর-রশিদ। সংবাদ সম্মেলনে ডিবি পুলিশের নতুন পোশাক পরে উপস্থিত হন গোয়েন্দা পুলিশ কর্মকর্তারা।

ডিবি জানায়, সাধারণ গ্রাহকের ছদ্মবেশে ব্যাংকের ভেতরে অবস্থান করত কয়েকজন। ভেতর থেকে মোটা অংকꦯের টাকা লেনদেনকারীদের তথ্য জেনে কৌশলে তাদের অনুসরণ করত। এরপর বাইরে অপেক্ষয় থাকা অন্যদের কাছে টার্গেট করা ব্যক্তির তথ্য পাঠানো হতো। ওই ব্যক্তি বের হওয়া মাত্রই গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পরিচয়ে ভুয়া পোশাকধারীরা তুলে নিত মাইক্রোবাসে। এরপর টাকাসহ মূল্যবান সামগ্রী লুট করে সুবিধাজনক স্থানে ওই ব্যক্তিকে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যেত এই ডাকাত দল।

ডিএমপির গোয়েন্দা পুলিশ প্রধান হারুন অর-রশিদ বলেন, “সম্প্রতি ব্যাংকে যারা বড় বড় লেনদেন করছেন তাদের টার𒈔্গেট করে ডিবি পরিচয়ে অপহরণ করে নগদ টাকা লুণ্ঠন করছে ভুয়া ডিবি পরিচয়ের ডাকাত দল।”

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার🦹রা ডিবিকে জানায়, তারা সাধারণ গ্রাহকের ছদ্মবেশে ব্যাংকে প্রবেশ করে অন্য গ্রাহকদের কৌশলে অনুসরণ করতে থাকে। অধিক টাকা লেনদেনকারী ও সহজ-সরল গ্রাহকদের টার্গেꦑট করে তার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য বাইরে রাস্তায় অপেক্ষায় থাকা ডাকাত দলের সদস্যদের কাছে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হতো। টার্গেট করা ব্যক্তিকে ব্যাংক থেকে বের হওয়া পর্যন্ত অনুসরণ করা হতো। একপর্যারে টার্গেট করা ব্যক্তি বাইরে আসা মাত্র ডিবি পুলিশ পরিচয়ে মাইক্রোবাসে তুলে সুবিধাজনক স্থানে নেওয়া হতো। ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে গাড়িতে উঠিয়ে ভয়-ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে টাকা ও অন্য মূল্যবান সামগ্রী লুণ্ঠন করে নিত এবং রাস্তায় কোনো সুবিধাজনক স্থানে গাড়ি থেকে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যেত।

গ্রেপ্তারদের বꦜিরুদ্ধে মতিঝ🦩িল থানায় একটি মামলা হয়েছে বলে জানান ডিবি প্রধান।