সাক্ষরতায় এগিয়ে পুরুষ

সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক প্রকাশিত: জুলাই ২৭, ২০২২, ১২:৪৭ পিএম

দেশে সাক্ষরতায় পুরুষের চেয়ে নারীরা পিছিয়ে আছে। বর্তমান সাক্ষরতার হার ৭৪ দশমিক ৬৬। এর মধ্যে পুরুষ জনগোষ্ঠীর সাক্ষরতার হার ৭৬ দশমিক ৫৬ শতাংশ ও নারী জনগোষ্ঠীর হার ৭২ দশমিক ৮২। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) জন꧅সংখ্যা গণনার তথ্য প্রকাশ করেছে। মাঠপর্যায়ে মূল শুমারি শেষ হওয়ার মাত্র এক মাসের মাথায় প্রাথমিক রিপোর্টে এ তথ্য উঠে এসেছে।

বুধবার (২৭ জুলাই) শেরেবাংলা নগরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) বিবিএস প্রথম ডিজি♔টাল ꦜ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২’-এর প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশনা অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়।

পরিসংখ্যানের তথ্যানুযায়ী, দেশের মোট জনসংখ্যার ১১ কোটি ৩০ লাখ ৬৩ হাজার ৫৮৭ জন গ্রামের বাসিন্দা। আর শহরের বাসিন্দা ৫ কোটি ২০ লাখ ৯ হাজার ৭২ জন। দেশে জনসংখ্যার গড় বার্ষিক বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ২২ শতাংশ। ২০১১ সালের শুমারিতে এই হার ছিল ১ দশমিক ৪৬। দেশে প্রতি বর্গকিলোমিটারে জনসংখ্যার ঘনত্ব ১ হাজার ১১৯, যা ২০১১ সালে ছিল ৯৭🌸৬।

পরিসংখ্যানের তথ্যানুযায়ী, দেশে প্রতি বর্গ 🀅কিলোমিটারে জনসংখ্যা ঘনত্বের হার ১ হাজার ১১৯ জন, এক দশক আগে যা ছির ৯৭৬ জন। এছাড়া ৯৮ জন পুরুষের বিপরীতে নারীর সংখ্যা ১০০ জন। ১০ থেকে তার বেশি বয়সী জনগোষ্ঠীর মধ্যে ২৮ শতাংশ অবিবাহিত এবং বিবাহিত ৬৫ শতাংশ।

এছাড়া মোট জনংখ্যার ৯১ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ মুসলিম, হিন্দু ৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ। দেশে মোট সাক্ষরতার হার ৭৬ দশমিক ৬🔴৬ শতাংশ।

১৫ জুন থেকে সারা দেশে এ🦄কযোগে শুরু হয় জনশুমারি ও গৃহগণনা কার্যক্রম। গত ২১ জুন জনশুমারি শেষ হওয়ার কথা থাকলেও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জেলায় বন্যা শুরু হওয়ায় এসব জেলায় শুমারি কার্যক্রম ২৮ জুন পর্যন্⭕ত চলে।

স্বাধীনতার পর ১৯৭৪ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম শুমারিতে দেশের জনসংখ্যা ছিল ৭ কোটি ১৫ লাখ। এরপর ১৯৮১ সালে জনশুমারি অনুষ্ঠিত হয়। ওই সময় মোট জনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৮ কো💖টি ৭১ লাখ ১৯ হাজার ৯৬৫ জনে। ১৯৯১ সালে দেশে ম🐻োট জনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১০ কোটি ৬৩ লাখে।

২০০১ সালে চতুর্থ আদমশুমারি ও গৃহগণনা করা হয়, এ সময় জনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১২ কোটি ২৪ লাখ। ২০১১ সাꦍলে অনুষ্ঠিত পঞ্চম জনশুমারিতে দেখা যায়, দেশের জনসংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৪ কোটি ৪০ লাখ। ষষ্ঠ ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ এ বাংলাদেশের জনসংখ্যা এখন ১৬ ক🥂োটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন।

এছাড়া দেশে মোবাইল ব্য🍷বহারকারীর হার ৫৫ দশমিক ৮৯ শতাংশ এবং ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ৩০ দশমিক ৬৮ শতাংশ। দেশে মোট খানার সংখ্যা ৪ কোটি ১০ লাখ ১০ হাজার ৫১টি। গড়ে খানার আকার ৪ জন, এক দশক আগে যা ছিল সাড়ে ৪ জন।