দেশে পুরুষের চেয়ে নারীর সংখ্যা বেশি

সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক প্রকাশিত: জুলাই ২৭, ২০২২, ১১:৪৮ এএম

দেশে প্রথমবারের মতো পুরুষের চেয়ে নারীর সংখ্যা বেড়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) জনসংখ্যা গণনার তথ্য প্রকাশ করেছে। মাঠ পর্যায়ে মূল শুমারি শেষ হওয়🍌ার মাত্র এক মাসের মাথায় প্রাথমিক রি💫পোর্টে এ তথ্য উঠে এসেছে।

বুধবার (২৭ জুলাই) শেরেবাংলা নগরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রথম ডিজিটাল ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২’-এর প্রাথমিক প্রত༒িবেদন প্রকাশনা অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়।

পরিসংখ্যানের তথ্যানুযায়ী, বর্তমানে দেশে প্রতি ১০০ জন নারীর বিপরীতে পুরুষের সংখ্যা ৯৮ জন। দেশের মোট জনসংখ্যা এখন ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন। যেখানে ৮ কোটি ১৭ লাখ 🌳পুরুষ ও ৮ কোটি ৩৩ লাখ নারী। ১২ হাজার ৬২৯ জন তৃতীয় লিঙ্গের।

১৫ জুন থেকে সারা দেশে একযোগে শুরু হয় জনশুমারি ও গৃহগণনা কার্যক্রম। গত ২১♋ জুন জনশুমারি শেষ হওয়ার কথা থাকলেও উত্তর-পূর্ব♉াঞ্চলের জেলায় বন্যা শুরু হওয়ায় এসব জেলায় শুমারি কার্যক্রম ২৮ জুন পর্যন্ত চলে।

স্বাধীনতার পর ১৯৭৪ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম শুমারিতে দেশের জনসংখ্যা ছিল ৭ কোটি ১৫ লাখ। এরপর ১৯৮১ সালে জনশুমারি অনুষ্ঠিত হয়। ওই সময় মোট জনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৮ কোটি ৭১ লাখ ১৯🌌 হাজার ৯৬৫ জনে। ১৯৯১ সালে দেশে মোট জনসংখ্যা বেড়ে দা♊ঁড়ায় ১০ কোটি ৬৩ লাখে।

২০০১ সালে চতুর্থ আদমশুমারি ও গৃহগণনা করা হꩲয়, এসময় জনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১২ কোটি ২৪ লাখ। ২০১১ সালে অনুষ্ঠিত পঞ্চম জনশুমারিতে দেখা যায়, দেশের জনসংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৪ কোটি ৪০ লাখ। ষষ্ঠ ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ এ বাংলাদেশের জনসংখ্যা এখন ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন।

বিবিএস-এর প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বার্ষিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ২২ শতাংশ, এক দশক আগে যা ছিল ১ দশমিক ৪৬ শতাংশ। দেশে প্রতি বর্গ কিলোমিটারে জনসংখ্যা꧑ ঘনত্বের হার ১ হাজার ১১৯ জন এক দশক আগে যা ছির ৯৭৬ জন। এছাড়া ৯৮ জন পুরুষের বিপরীতে নারীর সংখ্যা ১০০ জন। ১০ থেকে তার বেশি বয়সী জনগোষ্ঠীর মধ্যে ২৮ শতাংশ অবিবাহিত এবং বিবাহিত ৬৫ শতাংশ।

মোট জনংখ্যার ৯১ দশমিক ০৪ শ♉তাংশ মুসলিম, হিন্দু ৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ। দেশে মোট সাক্ষরতার হার ৭৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ। এছাড়া൩ প্রতিবন্ধিতার হার ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ।

এছাড়া দেশে মোবাইল ব্যবহারকারীর হার ৫৫ দশমিক ৮৯𝔉 শতাংশ এবং ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ৩০ দশমিক ৬৮ শতাংশ। দেশে মোট খানার সংখ্যা ৪ কোটি ১০ লাখ ১০ হাজার 🎃৫১টি। গড়ে খানার আকার ৪ জন, এক দশক আগে যা ছিল সাড়ে ৪ জন।

বিবিএসের শুমারি অনুসারে, দেশের মোট জনসংখ্যার ১১ কোটি ৩০ লাখ ৬৩ হাজার ৫৮৭ জন গ্রামের বাসিন্দা। আর শহরের বাসিন্দা পাঁচ কোটি ২০ লাখ নয় হাজার ৭২ জন। দেশে জনসংখ্যার গড় বার্ষিক বৃদ্ধির হার ১ দশমিক💃 ২২ শতাংশ। ২০১১ সালের শুমারিতে এই হার ছিল ১ দশমিক ৪৬। দেশে প্রতি বর্গকিলোমিটারে জনসংখ্যার ঘনত্ব এক হাজার ১১৯। যা ২০১১ সালে ছিল ৯৭৬। দেশে সাক্ষরতার হার ৭৪ দশমিক ৬৬। পুরুষ জন🎃গোষ্ঠীর সাক্ষরতার হার ৭৬ দশমিক ৫৬ শতাংশ, নারী জনগোষ্ঠীর এ হার ৭২ দশমিক ৮২।