কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কায়সার খ🌼সরুর অকথ্য ভাষায় গালাগালি দুঃখজনক ও অগ্রহ🍸ণযোগ্য বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ইউএনও’র ভাষা মাস্তানের চেয়েও খারাপ বলে উল্লেখ করেছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত।
রোববার (২৪ জুলাই) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতে🌃র সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এমন মন্তব্য করেন।
পরে খুরশীদ আলম খান বলেন, “আদালত বললেন একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তার এ ধরনের আচরণ মেনে নেওয়া যায় না। আদালত বলেছেন ডিসি সাহেব দুঃখ প্রকাশ করেছেন। আমি বললাম ডিসি সাহেব দুঃখ প্রকাশ করেছেন এটা একটা ভালো লক্ষণ। কিন্তু তিনি﷽ বলেছিলেন, বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। আমরা এখন পর্যন্ত সে ধরনের কিছু পাচ্ছি না। তখন আদালত ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলকে বলেছেন বিষয়টির বিস্তারিত খোঁজ নিয়ে জানাতে।”
টেকনাফে মুজিববর্ষ উপলক্ষে উপহারের ঘর নিয়ে সংবাদের সূত্র ধরে সাইদুল ফরহাদ নামের একজন সংবাদকর্মীকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করেছেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ কায়সার খসরু। এমনকি তুই তোকারিসহ সাংবাদিকের জাত নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। প্রায় চার মিনিটের অডিও রেকর্ডটি ইতোমধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে সাম😼াজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
এরপর থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। একজন সরকারি কর্মকর্তার এমন অশ্রাব্য 𝓀ব্যবহার শুনে হতভম্ব সব শ্রেণি-পেশার মানুষ। ক্ষুব্ধ হয়েছে স্থানীয় সংবাদকর্মীরা। তারা এর সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা দাবি করে অডিও রেকর্ডটি ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন। এতে ইউএনওর শাস্তি কথা উল্লেখ করে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার দাবি উঠে।
এর প্রেক্ষিতে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মামুনুর রশীদ বিষয়টি একপ্রকার সুরাহা করেছেন বলে জানা গেছে। এতে ওই ইউএনও নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন। কিন্তꦫু বিষয়টি শেষ হচ্ছে না। রোববার এক আইনজীবী হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে হাইকোর্ট উপরোক্ত মন্তব্য করেন।