গত কয়েকদিন ধরে দেশে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ ও মৃত্যু হার বৃদ্ধি পেয়েছে। দ্রুত গতিতে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার কারণ হিসেবে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের ন𝄹তুন দুই সাব ভ্যারিয়েন্ট (বিএ.৪ এবং বিএ.৫) দায়ী বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক উদরাময় গཧবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি)। এসব সাব-ভ্যারিয়েন্ট উচ্চ সংক্রামক হলেও মৃত্যু ও হাসপাতালে ভর্তির হার কম বলে জানিয়েছে গবেষণা কেন্দ্রটি।
মঙ্গলবার (৫ জুল🦩াই) আইসিডিডিআরবির অফিসিয়াল সাইটে প্রকাশিত 🌊প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়- বিএ.৪ এবং বিএ.৫ আগের সাব ভ্যার🅰িয়েন্টগুলোর তুলনায় দ্রুত গতিতে ছড়াচ্ছে। এর ফলে দেশে সংক🍨্রমণের নতুন ঢেউ দেখা দিয়েছে। এ সাব-ভ্যারিয়েন্ট দুটি এ বছরের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম শনাক্ত হয়েছিল।
গত ৬ ডিসেম্বর দেশে প্রথম ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের প্রথম দুই সপ্তাহে বেশির ভাগ করোনা পজিটিভ 𒆙কেস ছিল বিএ.১। পরে জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহ থেকে সংক্রমিত হয় সাব ভ্যারিয়েন্ট বিএ.২। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিএ.১ প্রতিস্থাপন করে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ পর্য✱ন্ত সংক্রমণ ঘটায়।
আইসিডিডিআরবির তথ্যমতে- গত ৯ এপ্রিল থেকে ১৩ মে -এর মধ্যে দেশে করোনা শনাক্তের হার খুব কম থাকায় সিকোয়েন্সিং করা সম্ভব হয়নি। এ অবস্থায় গত ১৯ মে ঢাকায় প্রথম সন্দেহভাজন ওমিক্রন সাবভ্যারিয়েন্ট বিএ.৫ রোগী শনাক্ত করা হয়। এরপর গত ছয় সপ্তাহে (১৪ মে থেকে ২৪ জুন পর্যন্ত) বিএ.৫ সবচেয়ে প্রভাবশালী সাবভ্যারিয়েন্ট হয়ে ওঠে। এমনকি এই সময়ের মধ্যে সম্পূর্ণ জিনোম সিকোয়েন্সিং ব্যবহার করে ৫২টি করোনা পজিটিভের ঘটনায় ৫১🌸টি বিএ.৫ সাবভ্যারিয়েন্ট এবং একটি বিএ.২ চিহ্নিত করা হয়েছিল।
৪০ জন বিএ.৫ সংক্রমিত রোগীর ক্লিনিক্যাল ডাটা এবং টিকাদানের ইতিহাস পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, সংক্রমিতদের মধ্যে ১৬ জন পুরুষ ও ২৪ জন নারী রয়েছেন। তাদের ৩৯ জনের মধ্যে করোনার মৃদু উপসর্গ দেখা গেছে এবং একজনের মধ্যে কোনো উপসর্গ দেখা দেয়নি। তাদের মধ্যে মাত্র একজনকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল। তাদের মধ্যে ১১ জন দ্বিতীয়বারের মতো এবং সাতজন তৃতীয়🐓বারের মতো করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন।