বন্যা নিয়ে গুজব, গুজবের ‘বন্যা’

নূর মামুন প্রকাশিত: জুন ২২, ২০২২, ০৬:০৮ পিএম

তথ্যপ্রযুক্তির সময়। তাই কোনো কিছু ঘটলে তা মুহূর্তেই সামাজি꧒ক যোগাযোগমাধ্যম বিশেষ করে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে নানা আলোচনা-সমালোচনা তৈরি হয়। এসব ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়া বিশেষ করে ফেসবুকে দ্রুত ছড়াতে তৈরি হয় প্রতিযোগিতা। কার আগে কে দিতে পারে, তা নিয়ে অনেক সময় সত্য ঘটনাটি চাপা পড়ে। আর এতেই ꦐতৈরি হয় গুজব।

বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুল𓂃নায় বাংলাদেশের মানুষ কোনো কিছু যাচাই না করেই তা বিশ্বাস করে। এতে তাদেরও তেমন দোষ নেই। কারণ, গুজবগুলো এমনভাবে সাজানো হয়, যা সাধারণ মানুষ বিশ্বাস ꦦকরতে বাধ্য হয়। তবে এখানে সচেতনতার অভাব আছে।

দেশের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে ব🥂ন্যার পানিতে তলিয়🐎ে গেছে ঘরবাড়ি। ওই সব অঞ্চলের পশুপাখি, বন্য প্রাণী বা গৃহপালিত প্রাণীগুলোও পড়েছে বিপাকে। অনেক প্রাণী পানির স্রোতে অন্য অঞ্চলে চলে গেছে বা মরে গেছে। অপর দিকে কোনো উপায় না পেয়ে অনেকে আশ্রয়কেন্দ্রে জায়গা নিয়েছে। সেখানে সঙ্গে নিয়ে এসেছেন গৃহপালিত প্রাণী।

দেখা যায়, পানিতে মাঝিবিহীন একটি নৌক𒁏া ভাসছে। এতে আরোহী বলতে দুটো বানরছানা। এদের একটিকে আক্রমণ করছে পানিতে ভেসে আসা দুটি কুকুর। কুকুরের আক্রমণ থেকে ছানাকে রক্ষার জন্য প্রাণান্ত লড়াই করছে সঙ্গে থাকা আরেকটি বানর। অনেকেই তাকে ‘মা’ উল্লেখ করেছেন।  

দেশে চলমান ভয়াবহ বন্যার মধ্যে এই ভিডিওটি যারা দেখেছেন, সবাই আবেগতাড়িত হয়েছেন। অনেকে আঁতকে উঠেছেন। অনেকে আক্ষেপ করে বলছেন, “বন্যায় মানুষের জীবনের সঙ্গে সঙ্গে পশুপাখির জীবনেও নেমে এসেছে বিপর্যয়।” কেউ কেউ এই ভিডিওটি না করে বরং বানর দুটিকে বাঁচানোর চেষ্টার ওপর জোর দিচ্ছেন। কেউ কেউ সন্তানের প্রতি মায়ের ভালোবাসার কথা বলেছেন।
কিন্তু এখানেও ধোঁকা। এই ভ🍬িডিওটি নিয়েও গুজব ছ💯ড়ানো হয়েছে।

দেখে বোঝা যায় পেজ পরিচালনা করা ওই নারী একজন প্রাণীপ্রেমী। পেজে দেখা গেলেও ওই নারীর নিজের নাম-পরিচয় কিছু জানা যায়নি। তবে যোগাযোগের যে নম্বর তিনি দিয়ে রেখেছেন, সেটা দেখে আন্দাজ করা যায় তিনি দকꦅ্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ কম্বোডিয়ার নাগরিক। তার শারীরিক গঠন ও চেহারাও তার জানান দিয়েছে।

অপর একটি জানানো হয়- ফারাক্কা বাঁধ খুলে দেওয়ায় সিলেটের বন্যা হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে বাঁধ থেকে পানি বের হচ্ছে। এ তথ্যটিও মিথ্যা। যেটি দেখা যাচ্ছে তা মূলত ভারতের কর্ন𒁏াটকের হেমাতী নদীর গোরুর বাঁধের স্লুইস গেট খুলে দেওয়ার ভিডিও। সেটি ২০১৯ সালে ধারণ করা হয়েছিল।

ভাইরাল হয়। ওই ভিডিওটি ব🐲র্তমান সময়ের কি না, তা সঠিক ব্যাখ্যা করতে পারেননি কেউ।

এ প্রসঙ্গে মাছরাঙা টিভির 📖বিশেষ প্রতিনিধি ইবতেশাম নাসিম মৌ তার ফেসবুকে লিখেছেন- “ভিডিওটির জিও লোকেশন এখনো পাওয়া যায়নি। তবে ২২ তারিখে আপলোড হয়েছে, এটা ফাইন্ড আউট করা গেছে। আপলোডকারী বা আপলোডকারীরা সিলেটের বলে দাবি করা হয়।”

ꦰতিনি আরও লেখেন- “আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিশ্চয়ই এবার রুট খুঁজে বের করে সবাইকে বিষয়টি জানꦉাবে। যাতে কোনো ধরনের ভুল-বোঝাবুঝির অবকাশ না থাকে।”

⛦শুধু এই ঘটনা নয়। এর আগেও বেশ কয়েকটি ঘটনায় গুজব ছড়ানো হয়েছে। এতে কেঁদেছেন অনেকে। বোকাও হয়♒েছে। বাংলাদেশে এখন সবচেয়ে বড় আতঙ্কের গুজব। এই অবস্থায় আমাদের সবার উচিত সবকিছু জেনেশুনে যাচাই করে তারপর শেয়ার করা।