ময়মনসিংহের ধোবাউড়ার ব্যবসায়ী মো. উজ্জ্বল মিয়া হত্যা মামলায় তিনজনের মৃত্য♋ুদণ্ড ও ছয়জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন꧙ ট্রাইব্যুনাল। মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস পেয়েছেন তিনজন।
মঙ্গলবার (১৪ জুন) 🅘ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনা🅰ল-৩ এর বিচারক মনির কামাল এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডরা হলেন- নওশাদ, শাহাবুদ্দিন ও সবুজ। মৃত্যুদণ্💝ডের পাশাপাশি তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মরম, মহিম, কারিম, জসিম, মিয়া হোসেন ও জালাল উ🌠দ্দিন। পাশাপাশি প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া আসামি ইসলাম, এমদাদুল, কুদ্রত আলী ও হাছেন আলীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত ♉না হওয়ায় তাদের ဣখালাস প্রদান করেন আদালত। মামলার আরেক আসামি রশিদ মামলার বিচার চলাকালে মারা যান।
জানা যায়, ২০১৩ সালে ব্যবসায়ী উজ্জল মিয়ার সঙ্গে আসামিদের জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলছিল। ওই বছরের ২৭ মার্চ রাত ৯টার দিকে পাশের এলাকা থেকে বার্ষিক দোলযাত🌜্রা মেলা থেকে মোটরসাইকেলে ফিরছিলেন উজ্জল মিয়া। তার সঙ্গে ছিলেন নজর আলী ও কালাম। বতিহালা এবতেদায়ী মাদরাসার কাছে পৌঁছালে আগে থেকে ওঁৎ 🍒পেতে থাকা আসামিরা উজ্জলের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। তাকে মারাত্মক জখম করে, দুই পা ভেঙে দেয়।
উজ্জলের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এলে আসামিরা পালিয়ে যায়। উজ্জলকে ধোবাউড়া ♊হাসপাতালে ও পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় উজ্জ্বলের বড় ভাই কুদরত আলী ধোবাউড়া থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। ২০১৪ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি ১৪ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির পুলিশের উপ-পরিদর্শক পরিমল চন্দ্র সরকার। ২০১৫ সালের ২৯ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন আদালত। মামলার বিচার চ🐼লাকালে ২৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জন সাক্ষ্য দেন।