অর্থমন্ত্রীর কমিটমেন্ট: ২০৩০ সালে দেশ হবে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত

সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক প্রকাশিত: মে ২৫, ২০২২, ০৯:০৯ পিএম

২০৩০ সাল নাগাদ বাংলাদেশ ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামা♎ল। তিনি বলেছেন,“আমরা কমিটমেন্ট করে বলছি ২০৩০ সালের মধ্যে দেশ দারিদ্র্যমুক্ত হবে। এই কাজটি করতে পারলে জাতির𝓡 পিতার অসমাপ্ত আত্মজীবনীর মূল জায়গায় স্পর্শ করতে পারব। জাতির প্রধান চাওয়া ভৌগলিক ও অর্থনৈতিক মুক্তি।”

বুধবার (২৫ মে) ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেনꦇ্দ্রে (বিআইসিসি) ‘জনশুমারি⭕ ও গৃহগণনা ২০২২’- এর মাস্টার ট্রেইনারদের চার দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।

বঙ্গবন্ধুর অবদানের কথা উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, “জাতির পিতা আমাদের ভৌগলিক মুক্তি দিয়ে গেছেন। কিন্তু অর্থনৈতিক মুক্তির কাজ তি𓃲নি সম্পন্ন করতে পারেননি। এই সুযোগ আমরা তাকে দেয়নি। আজকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতার অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করছেন।”

প্রবাসীদের ধন্যবাদ জানিয়ে রেমিটেন্স প্রসঙꦆ্গে মন্ত্রী বলেন, “রেমিটেন্সে তথ্য সংগ্রহ করতে প্রথম সার্ভে করা হয়েছিল। তখন রেমিটেন্স আসে ১৪ বিলিয়ন ডলার। রেমিটেন্সে প্রণোদনা দেয়ার ফলে প্রবাহ বেড়েছে। প্রণোদনা দেওয়ার ফলে ১৮ থেকে পরবর্তীতে ২৫ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়ায় রেমিটেন্স। চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ২১ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স এসেছে।”

ত🧸িনি বলেন, “বিবিএস প্রথমবারের মতো নিজস্ব প্রযুক্তিতে ডিজিটাল জনশুমারি করতে যাচ্ছে। এতে আমরা খুবই আনন্দিত। 💟পরিসংখ্যান যদি ঠিক না থাকে, ডাটা যদি ঠিক না থাকে- তাহলে কোনোভাবেই অর্থনীতিতে সঠিকভাবে কাজ করতে পারি না। ডাটা সঠিক না হলে সকল ধারণা ও পরিকল্পনা নষ্ট হবে। আগে শুমারি সঠিকভাবে না হওয়ায় আমাদের অনেক জনগোষ্ঠী আগে না খেয়ে মারা গেছে। আমরা জানি, এখন থেকে ২০০ বছর আগে ১৮০৪ সালে পৃথিবীতে প্রথম ১০০ কোটি মানুষের দেখা পায়। কয়েক বছরের মধ্যে জনসংখ্যা বাড়তে থাকে।”

তিনি আরও বলেন, “২০১১ সালে পৃথিবীতে ছিল ৭০০ কোটি মানুষ। এর মধ্যে অনেক বছর হয়ে গেꦜছে মাত্র ১০০ কোটি মানুষ বেড়ে ৮০০ কোটি হয়েছে। এর কিছু বেশি হতে পারে। এর আগে, পৃথিবী এত বছর পাড়ি দিয়েছে; অথচ জনসংখ্যা তত বাড়েনি। এর প্রধান কারণ বরফের যুগ। এই যুগ শেষ হওয়ার ফলে মানুষ বাড়ে। এর আগে খাবারের অভাবে মানুষ জন্মাতে পারেনি।”