দোকান বরাদ্দের নামে তোলা হয়েছে কয়েক কোটি টাকা। কিন্তু প্রায় ২৬ বছরেও শেষ 🦄হয়নি রাজধানী মিরপুরের প্যারিস রোডে ডিএনসিসি মার্কেটের নির্মাণ কাজ। সময় মতো বরাদ্দ না পেয়ে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ব্যবসায়ী। তাদের মধ্যে অন♛েকে মারাও গেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৬ সালে ঢাকা সিটি করপোরেশন ভাগ হওয়ার আগে মিরপুর-১১ নম্বর সেকশনে নিউ ঢাকা সিটি ⭕করপোরেশন মার্কেটের নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল। সে সময় মার্কেট নির্মাণে গণপূর্ত সিটি করপোরেশনকে ছয় বিঘা জায়গা দেয়। জায়গা পাওয়ার পর মার্কেট নির্মাণকাজ শুরু হয়। একপর্যায়ে ঠিকাদারদের সঙ্গে সিটি করপোরেশনের বিরোধ দেখা দিলে ১৯৯৮ সালে মার্কেটটির নির্মাণকাজ বন্ধ হয়ে যায়। ওই সময় ভবনের আন্ডারগ্রাউন্ড ও প্রথম তলার কাজ সম্পন্ন হয়েছিল।
দ꧂ীর্ঘ সময় বন্ধের পর ২০০৫ সালে আবার পুনরায় নির্মাণকাজ শুরু হয়। তখন ছয় তলা ভবনের কাঠামো নির্মিত হয়। কিন্তু চারপাশের দেয়াল নির্মাণ এবং আনুষঙ্গিক অন্যান্য কাজ বাদ রেখেই ২০০৭ সালে আবার ন♔ির্মাণকাজ বন্ধ করে দেয় সিটি করপোরেশন। এরপর চলে যায় আরও চার বছর।
২০১১ সালে সিটি করপোরেশন বিভক্ত হলে মার্কেটের দায়িত্ব পায় ডিএনস𒊎িসি। মার্কেটের নতুন নাম হয় নিউ ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন মার্কেট।
এদিকে মিরপুর ১১ 🌼নিউ সোসাইটি মার্কেটের ব্যবসায়ীরা বরাদ্ধ পাওয়ার জন্য আবেদন করে ১৯৮৫ সালে। সেসময় তারা জনপ্রতি ১ হাজার টাকার মাধ্যমে আবেদন করে। পরবর্তীতে 🥀ধাপে ধাপে ২০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত পরিশোধ করে। মার্কেটের মোট দোকানের সংখ্যা ২ হাজার ৩৬৩টি হলেও তার বিপরীতে ১০ থেকে ১২ হাজার ব্যবসায়ীরা তখন আবেদন করেন।
বরাদ্ধে আবেদন করা নিউ সোসাইটি মার্কেটের সুতা ব্যবসায়ী মো. সাহেদ আলী সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “বরাদ্ধ পাওয়ার জন্য এক হাজার জমা দಌিয়েছি। সে 🌼সময় আমার নামে বরাদ্ধ আসলেও মার্কেটের কাজ শেষ না হওয়ায় এখন পর্যন্ত ওঠতে পারি নাই। দীর্ঘদিন কাজ শেষ না হওয়ায় এখন আশা ছেড়ে দিয়েছি।”
সায়েদ আলী অভিযোগ করে বলেন, “বার বার সময় দিয়ে মার্কেটে নির্মাণ কাজ শেষ করতে পারেনি সিটি করপোরেশন। বর্তমানে মার্ক🍸েটটি অর্ধেক নির্মাণ কাজ বন্ধ হওয়ায় এটি মাদকের আখড়ায় পরিণত হয়েছে।”
সৈয়দ মাহমুদুল হাসান আরেক ব্যবসায়ী সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “মার্কেটে দোকান পাওয়ার আশায় এই পর্যন্ত ৯০ হাজার ট൲া𝓀কা জমা দিয়েছি। কিন্তু দুই যুগে এখন পর্যন্ত টাকা বা দোকান কিছুই পাইনি। সিটি করপোরেশন থেকে বার বার বলছে অল্প কিছুদিনের মধ্য আপনাদের দোকান বুঝে পাবেন। এই বলে চলে গেছে দুই যুগ। এখন দোকান পাওয়ার আশা ছেড়ে দিয়েছি।”
বর্তমানে নিউ সোসাইটি মার্কেট ব্যবসায়ী বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমি🐼টেডের সভাপতি চাঁদ মিয়া সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “এই মার্কেটে যেসব ব্যবসায়ীরা বরাদ্দের আশায় টাকা দিয়েছেন, তাদের অনেকেই মারা গেছেন। এখানে যেসব ব্যবসায়ীরা বরাদ্দ দিয়েছেন তারা প্রত্যেকে ধার-দেনা করে টাকা জমা দিয়েছেন। কিন্তু ২৬ বছরেও মার্কেটের নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ায় এখনও দোকান🦂 পায়নি।”
চাঁদ মিয়া আরও বলেন, “মার্কেটে দোকান বরাদ্দের নামে ধাপে ধাপে টাকা দিয়েও দীর্ঘসময়ে দোকান বুঝে পায়নি ব্যবসায়ীরা। এতে সবাই আর্থিকভাবে যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তেমনি ব🧸্যবসায়িকভাবেও। সরকারের কাছে আমা🐓দের একটায় দাবি- হয় আমাদের টাকা ফিরিয়ে দিক, না হয় দোকান।”
এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশের সঙ্গে কথা বলꩵেন স্থানীয় কꦍাউন্সিলর কাজী জহিরুল ইসলাম মানিক। তিনি বলেন, “এই মার্কেট নিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সিটি করপোরেশনের কয়েক দফা মিটিং হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে দ্রুত সময়ের মধ্যে এর একটা সমাধান হয়ে যাবে।”
ডিএনসিসির প্রধান কর্মকর্তা সেলিম রেজা সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “বর্তমান মেয়র দায়িত্ব আসার পর মার্কেটটির নির্মাণ কাজ দ্রুত করার জন্য উদ্যোগ ন🌟েওয়া হয়েছে। আমাদের পরিকল্পনা আছে শিগগিরই এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসতে পারব।”