বৃষ্টিতে রাজধানীবাসী স্বস্তিতে, জলাবদ্ধতায় অস্বস্তি

সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক প্রকাশিত: মে ২১, ২০২২, ১১:১১ এএম

বৈশাখ মাস শেষ হলেও কালবৈশাখীর দাপট এখনো থামেনি। দেশব্যাপী ভিন্ন ভিন্ন সময়ে বয়ে যাচ্ছে কালবৈশাখী। শনিব♚ার (২১ মে) ভোররাত থেকে রাজধানীর আকাশ মেঘলা হতে থাকে। সকাল ৬টা নাগাদ শুরু হয় বাতাস। এ সম𝓰য় বেড়ে যায় বাতাসের গতি। সেই সঙ্গে নামে মুষলধারে বৃষ্টি।

বৃষ্টিতে রাজধানীবাসী𓃲 স্বস্তি ফিরে পেলেও দিনের শুরুতেই সড়কে বের হয়েই দেখেন জলাবদ্ধতা।

ভ্যাপসা গরমে কয়েক দিন ধরেই নাকাল রাজধানীবাসী। বৈশাখ শেষ জ্যৈষ্ঠের প্রথম 🅷সপ্তাহ চলছে। দাবদাহ থেকে মুক্তি পেতে বৃষ্টির প্রতীক্ষায় ছিলেন রাজধানীবাসী। সে প্রতীক্ষার অবসান ঘটে শনিবার ভোররাতের ✅বৃষ্টিতে। ভারী বৃষ্টিতে রাজধানীর মিরপুর ১০ ও ১৩ নম্বর, মধ্য বাড্ডাসহ বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা গেছে।

সড়ক পুরোপুরি পানিতে ডুবে গেছে মিরপুর ১০ নম্বর গোলচক্কর এলাকায়। মিরপুর-১৩ নম্বরে ꦯবনফুল আদিবাসী গ্রিন হার্ট কলেজ ও স্কলাস্টিকার সামনের সড়কে জলাব🐈দ্ধতা দেখা যায়। ছুটির দিন থাকায় রাস্তায় সেভাবে যানবাহন ছিল না। তবে সড়কে যেসব যানবাহন ছিল, সেগুলো ধীরে ধীরে চলছিল।

স্কুল খোলা থাকায় ভোগান্তিতে পড়তে হয় ছাত্রছাত্রীসহ ও অভিভাবকদের। অনেকেই ছাতা হাতে𒁏 ও রেইনকোট পরে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে🎃 দেখা যায়।

ভোগান্তিরও শিকা🅰র এক অভিভাবক বলেন, “সকালে বের হব অফিসের উদ্দেশে। আকাশ খারাপ দেখে ছাতা হাতে নেই। সঙ্গে সঙ্গে ছেলেমেয়েরা বলে ওঠে আব্বু কীভাবে স্কুলে যাব ছাতা ছাড়া। কাဣরণ, ছাতা ছিল একটি। পড়ে সন্তানদের ছাতা দিয়ে বের হয়ে পড়ি।”

তিনি অভিযোগ করেন বলেন, “বৃষ্টির দ💞িনে তো বৃষ্টি হবেই। কিন্তু রাজধানীবাসী জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পাচ্ছে না। সড়ক এসেই দেখি পানি আর পানি।”

যাত্রাবাড়ীর বাসিন্দা কবির হোসেন স্কুলশিক্ষক। তিন🥂িও ভোগান্তির শিকার।

ওই 🔯শিক্ষক বলেন, “গরমের দাপট বেশিই ছিল। কয়েক দিন ধরে খবর দেখছি দেশের বিভিন্ন স্থানে তাপমাত্রার নতুন রেকর্ড হয়েছে। শুধু দেশেই নয়। বিদেশেও ভয়াবহ অবস্থা। পাকিস্তান ও ভারতের কিছু স্থানে তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে। যা কয়েক শ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে।

বিরূপ আবহাওয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন কবির হোসেন।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থে⛎কে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, মর্তবান উপসাগর ও এর কাছাকাছি মিয়ানমারে একটি লঘুচাপের সৃষ্টি হয়েছে এবং এটি বর্তমানে একই এলাকায় সুস্পষ্ট লঘুচাপ আকারে অবস্থান করছে। এর বাড়তি অংশ বিহার, পশ্চিমবঙ্গ এবং এর আশপাশের বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। পরবর্তী তিন দিনে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে।

সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে প্রবল বিজলী চমকানোসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে 𝄹পারে।

সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় টাঙ্গাইলে সর্বে♌াচ্চ ৫৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া বগুড়ায় ৫২, নেত্রকোনায় ৪৯, বদলগাছী ৪৮, সিলেটে ৪৭, দিনাজপুরে ৪২, রাজারহাটে ৪১, কুমিল্লায় ৩৯ এবং নিকলি ও শ্রীমঙ্গলে ৩৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়।